উপভোক্তাদের সুবিধায় এবার দুয়ারে পৌঁছে যাবে রেশন। কিন্তু, এই প্রকল্পের আইনি স্বীকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রেশন ডিলারদের একাংশ। দুয়ারে রেশন প্রকল্পের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন রেশন ডিলার। কিন্তু, সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে, দুয়ারে রেশন পৌঁতে দিতে আপাতত আর কোনও বাধা রইল না।
মামলাকারী রেশন ডিলারদের যুক্তি, দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু হলে ডিলারদের উপর চাপ বাড়বে। ডিলারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দিতে হলেও এ জন্য সরকারের তরফে আলাদা করে কোনও সাহায্য মিলছে না। লোকবলের অভাবে প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়াও কষ্টসাধ্য। রেশন আইনে কোনও বদল ছাড়াই এই প্রকল্প করা হয়েছে। তাই দুয়ার রেশন প্রকল্পের উপর স্থগিতাদেশ জারির আবেদন জানানো হয়।
আরও পড়ুন- চলবে না লোকাল ট্রেন, বাংলায় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ল রাতের নিয়ন্ত্রণ
কিন্তু,রাজ্য সরকারের দাবি, দুয়ারে রেশন প্রকল্পটি পাইলট প্রজেক্ট বা পরীক্ষামূলক প্রকল্প। এর দ্বারা কতটা সুবিধা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখেই পরে সিদ্ধান্ত হবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প আদৌ চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে কিনা। প্রয়োজনে ভহবিষ্যতে রাজ্যের রেশন আইনে সংশোধন করা সম্ভব।
আরও পড়ুন- রাজ্যের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষিকা বদলির নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের
এ দিন হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, উপভোক্তাদের সুবিধায় এই প্রকল্প চালু করছে রাজ্য সরকার৷ ফলে তা এটা তৃতীয় কোনও পক্ষ আটকে দিতে পারে না৷'
খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, 'দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু হওয়ার আগে আমরা সব রেশন ডিলারদের ডেকে প্রকল্প সম্পর্ক বুঝিয়েছি৷ তার পরেও কয়েকজন ডিলার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের ভালর জন্য এই কাজ শুরু করেছেন৷'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন