বিচারপতি অমৃতা সিনহা সেই নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে প্যানেল আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশের উপর ৪ সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ।
গত ১২ ডিসেম্বর জেলা ভিত্তিক নিয়োগের প্যানেল আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় পর্ষদ। সংশ্লিষ্ট মামলায় বুধবার বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, সিবিআই এবং ইডি যেভাবে তদন্ত করছে সেভাবেই তদন্ত চালিয়ে যাবে।
মামলাটি মূলত ২০১৪ সালের টেটের নিয়োগ ঘিরে। ওই বছরের টেটের প্রথমে ২০১৬ সালে এবং দ্বিতীয় দফায় ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। দুই নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি সিনহা পর্ষদকে প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। গত ১২ ডিসেম্বর পর্ষদ হলফনামা দিয়ে জানায় যে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে একটি প্যানেল প্রকাশ করা হয়। কিন্তু ২০১৬ সালের নিয়োগের রীতি মেনে প্যানেল প্রকাশের নিয়ম নেই।
এদিকে পর্ষদের দাবি মানতে নারাজ ছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। সেক্ষেত্রে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল দেখতে চেয়েছিল আদালত। এপ্রসঙ্গে প্যানেল প্রকাশ না করে পর্ষদ কি কাউকে আড়াল করতে চাইছে? এই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি সিনহা। একইসঙ্গে বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, এমন ৯৪ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
গত ১২ ডিসেম্বর প্যানেল প্রকাশ করতে না চাওয়ার জন্য পর্ষদকে তিরস্কার করেন বিচারপতি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছে প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদ। বুধবার ছিল সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি। সিনহার নির্দেশের ওপর ডিভিশন বেঞ্চ অন্তবর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে।