২০১৬ সালের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র প্রকাশ করতে হবে। ববিতা সরকারের করা মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল কমিশন। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চ অর্থাৎ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখল। অতএব, ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অনুসারেও ২০১৬ সালের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার ওএমআর শিট প্রকাশ করতে হবে।
গত ৭ জুলাই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ২০১৬ সালে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে সাড়ে পাঁচ হাজার জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা সহ ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র কমিশনকে প্রকাশ করতে হবে। সেই সঙ্গেই চাকরিপ্রার্থীর নাম, বাবার নাম, ঠিকানা, স্কুলের নাম-সহ ৯০৭ জনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তদন্তে এই ৯০৭ জনের বিকৃত উত্তরপত্র উদ্ধার করেছিল সিবিআই।
নম্বর কেলেঙ্কারির জেরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই স্কুল শিক্ষিকার চাকরি হারিয়েছিলেন ববিতা সরকার। এরপর সেই বিচারপতির এজলাসেই ২০১৬ সালে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ পরীক্ষার বিস্তারিত মেধাতালিকার প্রকাশের আবেদন করে মামলা করেন ববিতা। তাঁর দাবি, ২০১৬ সালের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সাড়ে পাঁচ হাজার জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ৯০৭টি বিকৃত ওএমআর শিট উদ্ধার করেছে সিবিআই। তার মধ্যে ১৩৮ জন ছিলেন ওয়েটিং লিস্টে। একাদশ-দ্বাদশের বিস্তারিত তথ্য-সহ প্যানেল প্রকাশ পেলে কারা, কী ভাবে, কোথায় চাকরি পেয়েছেন তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। যদি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রথম ২০ জনের মধ্যে দুর্নীতির কারণে কেউ চাকরি পেয়ে থাকেন, তবে ববিতার ফের শিক্ষিকা হওয়ার সুযোগ আসতে পারে। তাই প্যানেল প্রকাশ করার আবেদন জানান তিনি।
সেই মামলাতেই বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী ওএমআর শিট প্রকাশে কোনও অসুবিধা নেই।