শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ মামলায় দ্রুত তদন্ত শেষ করার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে নিয়োগ সংক্রান্ত সব মামলা ফেরানো হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তারপর উচ্চ আদালতের তরফে নিয়োগ মামলার নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ বেঞ্চও গঠন করা হয়। মঙ্গলবার ওই বেঞ্চেই শুনানি ছিল। সেখানেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ভর্ৎসনা করা হয়েছে পর্ষদকে।
হাইকোর্ট এবং সুপ্রিমকোর্টে দু'রকম কথা বলা হয়েছে পর্ষদের পক্ষে, কেন এই দ্বিচারিতা? তা স্পষ্ট করে জানানোর জন্য পর্ষদকে সাত দিনের মধ্যে হলফনামা জমা করতে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এ জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বোর্ড মিটিং করতে হবে।
দুর্নীতি মামলায় আগে হাইকোর্টে শুনানি চলাকালীন স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছিল, তারা নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে বেআইনি চাকরিপ্রাপকদের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করেছে। আবার সেই একই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কমিশন জানিয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্টের চাপে তারা একাজ করতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু সেই নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলা শীর্ষ আদালত কলকাতা হাইকোর্টে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। মঙ্গলবারের শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায়, কেন এই ভিন্ন অবস্থান? স্কুল সার্ভিস কমিশন, কোন মিটিংয়ের মাধ্যমে চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তারও বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- আরও এক তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত? কুণালের চিঠিতে হুলস্থূল
নিয়োগ সংক্রান্ত রাজ্যের সব মামলা গত ৯ নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে পাঠিয়েছিল শীর্ষ আদালত। বিশেষ বেঞ্চ এদিন জানিয়েছে, শীর্ষ আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল সেই নির্দেশ মত শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলা বুধবার (৬ ডিসেম্বর ২০২৩) শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হল। নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক মামলা রয়েছে। তার মধ্যে আরও নতুন আবেদন যুক্ত হবে কিনা বা একই ধরনের মামলা থাকলে মামলার সংখ্যা কমিয়ে এনে শুনানি করা হবে কিনা, এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে হাইকোর্টের নবগঠিত বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ বলে সূত্রের খবর।
এদিন মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য ছিল, এই সব মামলায় রাজ্যকে পার্টি না করেই এক তরফা ভাবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ফলে এই মামলা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। যা নিয়ে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, যদি সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হয়, তাহলে অনেক যোগ্য প্রার্থীও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। জনগণের টাকা কেন এভাবে নষ্ট হবে?