কম্বলকাণ্ডে সাময়িক স্বস্তি পেলেন আসানসোল পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি। তাঁকে ৩ সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে, তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে তাঁকে। সিআইডি ডাকলেই বিজেপি কাউন্সিলরকে হাজিরা দিতে হবে।
আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারীর কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই ঘটনায় আসানসোল পুরনিগমের ৩ বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি, গৌরব গুপ্ত এবং অমিত তুলসিয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মৃত্যু তদন্তের কিনারায় এই তিন জনকেই জিজ্যাসাবাদ করতে চায় সিআইডি।
সেই অনুযায়ী গত সোমবার পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতার ফ্ল্যাটে গিয়ে নোটিস দিয়ে আসে পুলিশ। পরদিন মঙ্গলবার সেখানেও গেলেও চৈতালির দেখা মেলেনি। বিজেপি কাউন্সিলর বাড়িতে ছিলেন না। আজ, বৃহস্পতিবার ফের চৈতালিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ফ্ল্যাটে যান পুলিশ। তবে, ফ্ল্যাট তালাবন্ধই ছিল।
এদিকে মঙ্গলবারই পুলিশের নোটিস খারিজের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানান চৈতালি তিওয়ারি। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে শুনানি হয়। চৈতালির বিরুদ্ধে নোটিস খারিজের মামলা কি আদৌ গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত কিনা সেই প্রশ্ন তুললেও শেষ পর্যন্ত তাঁকে তিন সপ্তাহের রক্ষাকবচ দেন বিচারপতি। অর্থাৎ, কম্বলকাণ্ডের মামলায় চৈতালিকে এখনই গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ।
কম্বলকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন চৈতালির স্বামী তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি বলেন, 'আমরা চোর ডাকাত নয়। আমরা তদন্তে সবসময় সহযোগিতা করব। কিন্তু কেন পুলিশ সেদিন চলে গেল সেটা আগে তদন্তে করে দেখা উচিত।'