কর্মশিক্ষার কোনও চাকরিপ্রার্থীকে আপাতত সুপারিশপত্র দিতে পারবে না স্কুল সার্ভিস কমিশন। উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাই কোর্ট। আপাতত দু’দিনের জন্য এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
অতিরিক্ত ৭৫০ নিয়োগে 'না' কলকাতা হাইকোর্টের। অপেক্ষারত ছাত্রদের তালিকা কীভাবে তৈরি হয়েছে? এসএসসির ব্যাখ্যা চেয়েছে আদালত। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি। পরবর্তী শুনানিতে নির্দেশ না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগপত্র দেওয়ায় অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল এসএসসি। কিন্তু, ২০১৭ সালের জুনে শুধু কর্মশিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের মার্চে ইন্টারভিউ হয়। এ বছর অক্টোবরে শারীরিক শিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা বিষয়ে অতিরিক্ত পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় এসএসসি। ৩ নভেম্বর কর্মশিক্ষা বিষয়ে যে অপেক্ষারত পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি। যার ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই কাউন্সেলিং সম্পন্ন হয়েছে।
কিন্তু তপশিলি জাতিভুক্ত চাকরি প্রার্থী সোমা রায়ের অভিযোগ, ৩ নভেম্বর কর্মশিক্ষা বিষয়ে যে অপেক্ষারতদের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি, তাতে তাঁর নাম নেই। তাঁর দাবি, তিনি পরীক্ষা এবং পার্সোনালিটি টেস্ট মিলিয়ে ৭২ নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু অ্যাকাডেমিক স্কোরে ২২-এর পরিবর্তে তাঁকে ১৮ নম্বর দেওয়া হয়েছে। পুরো নম্বর যোগ করা হয়নি। অর্থাৎ নম্বরে গড়মিল রয়েছে।
মামলাকারীদের আইনজীবীর অভিযোগ, এসএসসি-র অপেক্ষারতদের তালিকায় এমন ৬০ জন চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন, যাঁদের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর তাঁদের মক্কেলের থেকে কম। গড়মিল রয়েছে এসএসসি-র তরফে। পাল্টা এসএসসি-র যুক্তি- যে ৬০ জনের কথা বলা হচ্ছে তাঁরা প্যারা টিচার। ফলে তাঁদের 'বিশেষ যোগ্যতা সংরক্ষণে'র আওতায় নিয়োগ করা হয়েছে।
দু'পক্ষের কথা শুনে মঙ্গলবারের শুনানিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎবসু ওই ৬০ জনকে মামলায় পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছেন। কীভাবে অপেক্ষারতদের নিয়োগ তালিকা তৈরি করেছে এসএসসি নাম ধরে ধরে দেখতে চেয়েছে আদালত।