চুক্তিভিত্তিক শিক্ষিকদের বদলি সংক্রান্ত মামলায় আদালতের রায়ে ধাক্কা রাজ্যের। শিক্ষকদের বদলির নির্দেশে ৩০ নভেম্ভর পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নবান্নের বদলির নির্দেশ 'অযৌক্তিক' বলে এ দিনের নির্দেশে জানিয়েছে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চ। স্থগিতাদেশ জারি না করার জন্য রাজ্য সরকার আবেদন জানালেও তা নাকচ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে হবে।
গত কয়েক সপ্তাহ আগেই চুক্তিভিত্তিক শিক্ষিকদের অন্যত্র বদলির নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। যা অবাস্তব বলে মুখর শিক্ষিক-শিক্ষিকারা। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। নির্দেশ প্রত্যাহার করার দাবিতে কয়েকদিন আগেই বিকাশ ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে বিষপান করেন কয়েকজন শিক্ষিকা।
রাজ্যের বদলি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন মুর্শিদাবাদের ভোকেশনাল শিক্ষিকা অনিমা নাথ। সেই মামলারই শুনানি ছিল এ দিন। ভোকেশনাল শিক্ষিকা অনিমা নাথকে হুগলির বলাগড় থেকে কয়েক’শ কিলোমিটার দূরে মালদহে বদলি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- চলবে না লোকাল ট্রেন, বাংলায় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ল রাতের নিয়ন্ত্রণ
'কীসের ভিত্তিতে এই বদলির নির্দেশ জারি করল রাজ্য? কোন ক্ষমতাবলে এই নির্দেশ?' মামলাটির শুনানি চলাকালীন মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য এই প্রশ্ন তোলেন। আজ, বুধবারই প্রশ্নের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু জবাব দিতে এ দিন আরও সময় চেয়েছিল রাজ্য। যা খারিজ করে দেন বিচারপতিরা এবং ৩০ নভেম্ভর পর্যন্ত চুক্তিভিত্তিক শিক্ষিকদের বদলি করা যাবে না বলে নির্দেশ জারি করা হয়।
অস্থায়ী শিক্ষকদের বদলির জন্য রাজ্যে পৃথক কোন আইন নেই, কিন্তু তাদের অন্যত্র বদলিতেও বাধা নেই বলে হাইকোর্টে জানায় নবান্ন। যদিও আদালত মনে করেছে, যেহেতু অস্থায়ী শিক্ষকদের কোনও নির্দিষ্ট বদলি নীতি নেই, তাই রাজ্য সরকারের বদলির সিদ্ধান্ত ন্যায়সঙ্গত নয়।
যেসব চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের বদলির নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার তাঁদের বেতন মাসিক ১০ হজার টাকা। শিক্ষিকাদের যুক্তি, এত স্বল্প বেতনে বেতনে কয়েক’শ কিলোমিটার দূরে বদলি করা হলে সংসার চলবে না। এই দাবি তুলেই গত কয়েক সপ্তাহ যাবত রাজ্যকে তাঁদের বদলির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলেন চুক্তিভিত্তিক শিক্ষিকারা। কিন্তু তা মানেনি সরকার। প্রতিবাদে বিকাশ ভবনের সামনে বিষপান করেন ৫ এসএসকে শিক্ষিকা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন