মোমিনপুরকাণ্ডের তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট (SIT) গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের নেতৃত্বে সিটের সদস্যরা কাজ করবে বলে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। তদন্তের গতিপ্রকৃতি সমন্ধে আগামী দু’সপ্তাহ পর হাইকোর্টে রিপোর্ট দেবে বিশেষ তদন্তকারী দল।
গত শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তেজনা, হিংসার ঘটনা ঘটেছিল মোমিনপুর এলাকায়। যার নিয়েই বিজেপির তরফে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল। বুধবার ছিল সেই মামলার শুনানি। সিট গঠনের পাশাপাশি তাদের কাজও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে আদালত।
তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দলকে অপরাধীদের চিহ্নিতকরণ ও তাদের উদ্দেশ্য অনুসন্ধান করতে হবে। হিংসার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ ও তা সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়া এলাকায় কীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও তা বহাল রাখা যায় তাও দেখভাল করতে হবে।
পুলিশকে হাইকোর্টের নির্দেশ যে, মোমিনপুর এলাকায় শান্তি রক্ষার স্বার্থে পুলিশি পিকেটিং বজায় রাখতে হবে। স্থানীয়দের আতঙ্ক দূর করতে হবে। সব ধর্মের মানুষ সেখানে যাতে সুরক্ষিত থাকেন তা পুলিশ প্রশাসনকেই নিশ্চিত করতে হবে। রাজ্য সরকারেও মোমিনপুরে সব ধরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মোমিনপুরবাসীদেরও প্রশাসনকে সহযোগিতা করার কথা বলা হয়েছে।
মোমিনপুরে শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত হিংসার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পুলিশের কাছে বিচারপতিরা জানতে চাযন যে, ওই সময় যেসব এফআইআর হয়েছে তার প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? জবাবে ইকবালপুর থানার ওসি আদালতে জানান, ঘটনার পর থেকে বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা, গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল বলেন, 'এলাকা এখন স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোনও নাগরিক ভয় পেলে বা আতঙ্কগ্রস্ত থাকলে অবশ্য পুলিশকে জানান, পদক্ষেপ করা হবে।'
পুলিশ যখন তদন্ত করছে তখন এই মুহূর্তে অন্য কোনও সংস্থার তদন্তের প্রয়োজনীয়তা নেই। এই যুক্তিতে মোমিনপুরকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাউকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।