Advertisment

দাড়িভিট হাইস্কুলের অচলাবস্থা কাটিয়ে স্বাভাবিক করুন, মহকুমা শাসক-পুলিশ সুপারকে নির্দেশ হাইকোর্টের

অচলাবস্থা কাটিয়ে স্কুলের পঠনপাঠন চালু করে জন্য এসপি-কে পুলিশ পিকেটের ব্যবস্থা করার জন্য ও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সবরকম পোস্টারও সরিয়ে ফেলতে বলেছে আদালত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

তালাবন্ধ দাড়িভিট উচ্চ বিদ্যালয়ের মেইন গেট

উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিট হাইস্কুলের পরিস্থিতি অবিলম্বে স্বাভাবিক করতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট মহকুমা শাসককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ববি সারাফের সিঙ্গল বেঞ্চ। অচলাবস্থা কাটিয়ে স্কুলের পঠনপাঠন চালু করে জন্য এসপি-কে পুলিশ পিকেটের ব্যবস্থা করার জন্য ও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সবরকম পোস্টারও সরিয়ে ফেলতে বলেছে আদালত। দাড়িভিটকাণ্ডে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ছাত্র রাজেশ সরকার এবং তাপস বর্মনের পরিবারের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতেই হাইকোর্ট এদিন নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisment

২০ সেপ্টেম্বরে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুলে বিক্ষোভের জেরে দুই যুবকে মৃত্য়ু হয়। অভিযোগ ওঠে, পুলিশর গুলিতে মৃত্য়ু হয়েছে ওই দু'জনের। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসন তা অস্বীকার করে। দুই নিহতের পরিবারের দাবি, সিবিআই তদন্ত হোক। কিন্তু রাজ্য় সরকার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় এবং তা মানেননি ওই দুই পরিবারের কেউই। পাশাপাশি, ওই ঘটনায় পুলিশ যাদের গ্রেপ্তার করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন- কংগ্রেসের কল্যাণে লক্ষণের বনবাসের অবসান?

এই ঘটনাক্রমের প্রতিবাদে দুই যুবকের পরিবার অক্টোবরে স্কুলে তালা দিলেও প্রশাসনের আবেদনে সাড়া দিয়ে নভেম্বর মাসে তালা খুলে দিয়েছিলেন। সে সময় সিবিআই তদন্ত, গ্রেপ্তার গ্রামবাসীদের নিঃশর্ত মুক্তি-সহ বেশ কিছু দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। ১০ নভেম্বর স্কুল খুলেছিল। এরপর ৮ ডিসেম্বর ফের বন্ধ হয় স্কুল।

তাপস বর্মণের বাবা বাদল বর্মণ বলেন, “আমাদের কোনো দাবি প্রশাসন পূরণ করেনি। অথচ দাবি পূরণ হবে বলে আমাদের কথা দেওয়া হয়েছিল। তাই আমরা স্কুল খুলতে দিয়েছিলাম। আমরা বলেছিলাম দাবি পূরণ না হলে স্কুল বন্ধ করে দেব। আমরা প্রশাসনকে সুযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি, স্কুল বন্ধ না করলে সঠিক বিচার মিলবে না। যতদিন বিচার না পাবো, ততদিন আমরা স্কুল খুলতে দেব না। এভাবেই তালা মেরে গেটের সামনে বসে থাকবো। সিবিআই তদন্ত চাই।”

Calcutta High Court
Advertisment