Calcutta High Court: নরেন্দ্রপুরের স্কুলে শিক্ষক নিগ্রহ কাণ্ডে এবার আরও কড়া কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। 'কেন গ্রেফতার করা হয়নি প্রধান শিক্ষককে', ক্ষোভের সুরে রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চাইলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচরপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu)। মাধ্যমিক পরীক্ষার (Madhyamik) পর ফের এই মামলার শুনানি হবে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায়। আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ ছিল, স্কুলের প্রধান শিক্ষকের 'দুর্নীতি'র প্রতিবাদ করাতেই তাঁদের উপর হামলা চলে। এই ঘটনায় স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধি থেকে শুরু করে তৃণমূলের (TMC) কয়েকজন নেতা-কর্মীর যোগ ছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন- Lovely Maitra: ‘দল থাকলেই রোজগার’, তৃণমূলের লাভলি-বচনে কটাক্ষের স্রোত বইয়ে দিচ্ছেন বিরোধীরা!
পরবর্তী সময়ে ঘটনার জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। সোমবার আদালতে শিক্ষকদের মারধর-মামলার শুাননিতে রাজ্যের আইনজীবী জানান, FIR-এ নাম থাকা প্রধান শিক্ষক ছাড়া আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপরেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ক্ষোভের সুরে বলেন, "প্রধান শিক্ষককে কেন গ্রেফতার করা হয়নি।" এক্ষেত্রে রাজ্যের আইনজীবী সওয়ালে ফের জানান, তিনি আগাম জামিনের আবেদন করেছেন। উত্তরে বিচারপতি বসু বলেন, "আগাম জামিনের আবেদন করলে কি গ্রেফতার করা যায় না? আশা করি পুলিশ সব অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করবে।''
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee-Suvendu Adhikari: গতরাতেই দিল্লির বিমান ধরেছেন শুভেন্দু, আজ যাচ্ছেন মমতাও, সরগরম রাজধানী
উল্লেখ্য, নরেন্দ্রপুরের (Narendrapur) বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে ক্লাস চলাকালীন ২৫-৩০ জনের একটি দল চড়াও হয়। স্কুলের টিচার্স রুমে ঢুকে পড়ে তারা বেধড়ক মারধর করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেই এই ঘটনায় মদত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যদিও অভিযোগ উড়িয়েছেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। এই মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। FIR-এ নাম থাকা সব অভিযুক্তকেই গ্রেফতারের নির্দেশ বহাল রাখা হয়।