RG Kar Case: শেষমেষ আরজিকর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ উচ্চ আদালতের। পুলিশ এবং হাসপাতালের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত।
আরজি কর সংক্রান্ত মামলার শুনানির প্রথম দিনেই চূড়ান্ত বিস্ময় প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে। তিন সপ্তাহ পর রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব করেছেন প্রধান বিচারপতি। মামলার শুনানিতে এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে CBI নির্দেশ দেওয়া যায়। যে ঘটনায় রাজ্যের ব্যর্থতা রয়েছে বলে মনে হচ্ছে সেক্ষেত্রে সিবিআই নির্দেশ দেওয়া যায়। হাসপাতালের সুপার কিংবা কেউ FIR দায়ের করলেন না, এটা তো বিস্ময়ের। অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ইস্তফার পরেও কেন সমান গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল? পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সন্দীপ ঘোষকে কাজে বহাল নয়। ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারবেন না সন্দীপ ঘোষ।"
আগামিকাল সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে CBI-কে কেস ডায়েরি হস্তান্তর করতে নির্দেশ প্রধান বিচারপতির। কলকাতা পুলিশের কেস ডায়েরিতে সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট। আরজি করে চিকিৎসক মৃত্যুতে প্রথমেই কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, "ওই হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকের দেহ ওই হাসপাতাল থেকেই উদ্ধার হয়েছে। যিনি হাসপাতালের দায়িত্বে ছিলেন তিনি কেন FIR করলেন না?"
আরও পড়ুন- RG Kar Case: ‘বিকেল ৩টের মধ্যে ছুটিতে যেতে বলুন’, হাইকোর্টের নিশানায় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ
আরজি করের ঘটনাকে অমানবিক বলেও মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে। একজন কর্মরত চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে ওই হাসপাতালেই। তাও পুলিশ প্রথমেই কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান বিচারপতি। একইসঙ্গে এদিন আন্দোলনরত চিকিৎসকদেরও কাজে ফেরার আবেদন জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন- Junior Doctor Protests: ন্যাশনাল মেডিক্যাল পড়ুয়া বিক্ষোভে মন্ত্রী-বিধায়ক, ‘গো-ব্যাক’ শুনে ফিরলেন জাভেদ-স্বর্ণকমল