রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সেলের অফিস ভাঙার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, হেরিটেজ ভবন না হলেও কী যেখানে সেখানে সত্ব ছাড়া কোনও কর্মী সংগঠন পার্টি অফিস তৈরি করতে পারে? হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা পুরসভাকে হেরিটেজ ভবন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। হেরিটেজ কমিশনের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে এই কাজ করবে কলকাতা পুরসভা। হেরিটেজ কমিশন পুরসভাকে জানাবে যে, হেরিটেজ ভবনের কোন অংশ ভেঙে ফেলা হবে।
এর আগে গত ৭ই নভেম্বর রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে হেরিটেজ ভবন ভাঙায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেদিনই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, হেরিটেজ ভবন ভাঙা যাবে না। এরপরেও যদি ওই কাজ হয় তাহলে নবান্নকে জবাবদিহি করতে হবে। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পৃথকভাবে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছিল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে হেরিটেজ ভবন ভাঙা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে বলেন, যে ঘরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথমবার বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন সেই ঘরে এখন তৃণমূলের শিক্ষা বন্ধু সমিতির অফিস হয়েছে।
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি গ্রেড-১ হেরিটেজ পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত। অভিযোগ, ওই ক্যাম্পাসের অব্যবহৃত দুটি ঘর ভাঙা হচ্ছিল।