রাজ্যের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের মামলায় বিরাট ধাক্কা খেল রাজ্য। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সিদ্ধান্তেই সায় দিয়েছে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ এদিন জানিয়েছেন, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত বৈধ।
রাজ্যের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট জানিয়েছে, অস্থায়ী উপাচার্যদের নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল, তাঁদের বেতন এবং অন্যান্য ভাতা-সুবিধা দিতে হবে রাজ্যকে। গত ৫ জুন রাজ্যপালের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের নিয়োগ করা ১৪ জন অস্থায়ী উপাচার্যের বেতন ও ভাতা বন্ধের নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। এর আগে ১৪ জন অস্থায়ী উপাচার্যকে কাজে যোগ না দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু তা মানেননি উপাচার্যরা। তার পর সরাসরি তাঁদের বেতন-ভাতা বন্ধ করে রাজভবনকে কড়া বার্তা দেয় রাজ্য।
আরও পড়ুন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার মুখে রাজ্যপালকে ঘিরে বিক্ষোভ, কালো পতাকা, গো-ব্যাক স্লোগান টিএমসিপির
ব্রাত্য বসু কয়েকদিন আগেই সাফ জানিয়ে দেন, উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা না করেই বেআইনিভাবে অস্থায়ী উপাচার্যদের নিয়োগ করেছে রাজভবন। রাজ্য সরকার তাঁদের নিয়োগের স্বীকৃতি দেয়নি। অবৈধ নিয়োগের কারণে পদগ্রহণের আগে তা প্রত্যাখ্যানের আবেদন করেন ব্রাত্য বসু। কিন্তু একজন ছাড়া প্রত্যেকেই যোগ দিয়েছেন। পরে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এই বিষয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে রাজ্যপাল প্রথমে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন। পরে আরও ১১ জনকে নিয়োগ করেন। উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পাঠানো নির্দেশিকায় সাফ বলা হয়েছে, এই ভাবে সরাসরি অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারেন না রাজ্যপাল। সেটা করতে হয় উচ্চশিক্ষা দফতর মারফৎ। তা হয়নি বলে এই নিয়োগ উচ্চশিক্ষা দফতর বৈধ স্বীকৃতি দিচ্ছে না।