কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তি মিলল না ঝাড়খণ্ডের ধৃত তিন কংগ্রেস বিধায়কের। সিআইডি-র তদন্তপ্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ দাবি করে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন এই তিন বিধায়ক। সঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধেও তাঁদের অভিযোগ ছিল। কিন্তু, আদালতের কাছে এই তিন অভিযুক্ত বিধায়কের আবেদন ধোপে টিঁকল না। হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বিধায়কদের পক্ষ থেকে যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করা হচ্ছে তা সঠিক নয়।
সিবিআই তদন্তের দাবি খারিজের পাশাপাশি, ওই মামলায় সিআইডি তদন্তে স্থগিতাদেশের আবেদনও নাকচ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুনানিতে রাজ্য়ের তরফে জানানো হয়,তদন্তে প্রক্রিয়া প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। এই অবস্থায় তদন্তকারী সংস্থা পরিবর্তন করলে তদন্তের গতিপ্রকৃতিতে বদল ঘটতে পারে। উঠে আসে সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীর প্রসঙ্গষ বার্ককাণ্ডে কারচুপির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন অর্ণব। সেই সময় ওই মামলার তদন্ত তিনি সিআইডি-র বদলে কেন্দ্রীয় তদন্তরাকী সংস্থা দিয়ে করানোর আর্জি জানিয়েছিলেন। যা সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে যায়। রাজ্যের তরফে এই উদাহরণও পেশ করা হয়। অভিযুক্ত তিন বিধায়কের দাবি ছিল এই মামলার গুরুত্ব দেশব্যাপী। ফলে সিবিআই তদন্ত হলে সত্য উদঘাটিত হবে। পাল্টা রাজ্যের তরফে বলা হয় যে, তিন কংগ্রেস বিধায়কের গাড়ি থেকে ৪৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার হওয়ার জেরে ঝাড়খণ্ডে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যদিও সেটা হাওড়ায় তিন বিধায়কের গ্রেফতারির পরে হয়েছে।
নির্দেশে হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই মামলায় সিআইডি তদন্তের ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা নেই। সিআইডিকে দ্রুত, নিরপেক্ষভাবে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত করতে হবে। সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ, বিধায়কদের গাড়ি থেকে নোট উদ্ধার মামলার তদন্তে সিআইডি-র কাজে কোনও বাধা রইল না।
গত শনিবার হাওড়ার রানিহাটি থেকে ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস বিধায়কদের একটি কালো গাড়ি আটক করে পাঁচলা থানার পুলিশ। ওই গাড়িতে ‘এমএলএ’ স্টিকার লাগানো ছিল। ওই গাড়ি থেকে ৪৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। এর পরই ঘটনার তদন্তে নামে সিআইডি। টাকার উৎসের ব্যাপারে তদন্তকারীদের কিছু জানাতে পারেননি বিধায়করা। এর পর তিন বিধায়ককে গ্রেফতার করে সিআইডি। ওই তিন বিধায়ককে সাসপেন্ডও করেছে ঝাড়খণ্ড কংগ্রেস। সেই তদন্তের বিরুদ্ধেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিন বিধায়ক।