বাগুইহাটি থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ শান্তনু সরকার ও তদন্তকারী অফিসার বিশ্বজিৎ দাসকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। গত মার্চে একটি পাচার মামলায় কেস ডায়েরিতে পাচার হাওয়া নাবালিকার ছবি সহ বিস্তারিত তথ্য লিপিবদ্ধ করার অভিযোগ রয়েছে ওই দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। এরপরই বুধবার বিধিভঙ্গ ও অনৈতিক কাজের অভিযোগে বাগুইহাটি থাকার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ শান্তনু সরকার ও তদন্তকারী অফিসার বিশ্বজিৎ দাসকে সাসপেন্ড করতে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ।
হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে এক নাবালিকাকে পাচারের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ দায়ের হয় বাগুইহাটি থানায়। পরে ওই নবালিকাকে উদ্ধার করে তার প্রেমিক। অভিযোগ নাবালিকার ওই প্রেমিকের বিরুদ্ধেই এফআইআর রুজু করে পুলিশ। তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি বাগচি। শুনানিতে তিনি বলেন, 'যিনি নাবালিকাকে পাচারকারীদের হাত থেকে বাঁচলেন তাকেই অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করা হল। কারণ কী? তার মানে ওই যুবক যে পাচার চক্র ভাঙতে চাইছিলেন, পুলিশ কি সেই চক্র যাতে চলতে পারে সেই রাস্তা করে দিচ্ছে?'
পাশাপাশি বিতারপতি জয়মাল্য বাগচির প্রশ্ন, ওই নাবালিকার গোপন জবাববন্দি কেন দেখলো না পুলিশ? নাকি দেখেও ভ্রুক্ষেপ করেনি? জানা গিয়েছে, নাবালিকার জবানবন্দিতে স্পষ্ট রয়েছে যে, ওই যুবক তাঁকে উদ্ধারে সাহায্য করেছেন।