কল্যাণী এমসের নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি। যাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। এবার সেই তদন্তের প্রেক্ষিতে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থাকে কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। নিয়োগ সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এ দিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ সিআইডিকে জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হলে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে।
সিআইডিকে সতর্ক করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এইমস কেন্দ্রীয় সংস্থা। কর্মীদের নিয়োগ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে ওই সংস্থার কর্মরত কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হলে কেন্দ্রের অনুমতি প্রয়োজন। ডিভিশন বেঞ্চের ব্যাখ্যা, দুর্নীতি দমন আইনের ১৯৮৮-এর ১৭ (এ) ধারা অনুসারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনও কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী বা আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত, অনুসন্ধান এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না।
আরও পড়ুন- রকেট গতিতে সম্পত্তি বেড়েছে কেষ্টর, সাতসকালে শিবশম্ভু রাইসমিলে CBI
কল্যাণী এইমসে বেআইনিভাবে একাধিক ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে সুভাষ সরকার নামে এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। সরাসরি তিনি জড়িত বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা এবং চাকদহের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগের অঙুল ওঠে। অভিযোগ, চাকদহের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ তাঁর পুত্রবধু অনুসূয়া ধর ঘোষকে এবং বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা তাঁর মেয়ে মৈত্রেয়ী দানাকে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে প্রভাব খাটিয়ে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। ফলে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি।
এরপরই এই তদন্ত সিআইডি থেকে সিবিআইয়ের হাতে অবিসম্বে হস্তান্তর করার দাবিতে দায়ের হয়েছিল মামলা। মামলাকারীর দাবি, এইমস সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় একটি সংগঠন। তার নিয়োগ থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুই ঠিক হয় কেন্দ্র সরকারের অধীনে । সেখানে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্য তদন্ত করতে পারে না বলে দাবি করা হয় ।