২০১৪ থেকে ২০২৩, অপেক্ষা প্রায় ৯ বছর ৭ মাসের। এর মাঝে বহু আন্দোলন, বিক্ষোভ, ধর্না। শেষ পর্যন্ত বুধবার প্রকাশিত হয়েছে ২০১৪ সালের উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা। কিন্তু স্বস্তি মিলছে না মেধাতালিকায় নাম থাকা প্রার্থীদের। সফল প্রার্থীদের নজর এখন ৩০ আগস্ট কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানির দিকে।
উচ্চ প্রাথমিকের মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছে মানেই ওই তালিকায় থাকা প্রার্থীরা চাকরি পেয়ে গিয়েছেন তেমন নয়। ৩০ অগস্ট ২০১৪ সালের উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মেধাতালিকায় নাম থাকা চাকরি প্রার্থীদের ভাগ্যনির্ধারণ করবে উচ্চ আদালত। এসএসসির তরফে প্রকাশিত বুধবারের মেধাতালিকাকে কলকাতা হাইকোর্ট মান্যতা দিলে তবেই ওই তালিকায় নাম থাকা প্রার্থীদের চাকরি নিশ্চিৎ হবে।
২০১৪ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উচ্চ প্রাথমিকের পরীক্ষা নিয়েছিল এসএসসি। ৯ বছরের বেশি সময় পর সেই পরীক্ষারই মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। প্যানেলভুক্ত এবং ওয়েটিং লিস্টের প্রার্থী মিলিয়ে মোট ১৩,৩৩৯ জনের নাম প্রকাশিত হয়েছে মেধাতালিকায়। যদিও শূন্যপদের সংখ্যা ১৪,৩৩৯। টেট-এ প্রাপ্ত নম্বর, ইন্টারভিউয়ে প্রাপ্ত নম্বর এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে প্রার্থীদের নামের পাশে পৃথক পৃথক করে নম্বর বিভাজন দেওয়া রয়েছে মেধা তালিকায়।
২০১৯ সালেও এক বার ২০১৪ সালে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ পরীক্ষার মেধাতালিকা প্রকাশ করেছিল এসএসসি। কিন্তু সেই মেধাতালিকায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। শেষপর্যন্ত সেই তালিকা বাতিল করে দেয় উচ্চ আদালত। অগস্ট মাসে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে প্রার্থীদের আবার নতুন করে ইন্টারভিউ নেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই চাকরি প্রার্থীদের নতুন করে ইন্টারভিউ নিয়ে মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি।