ধাক্কা খেল আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির আপিল। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ তৃণমূলের ৮২ জন প্রার্থীর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়কেই মান্যতা দিল উচ্চ আদালত।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নাম উধাওয়ের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন ভাঙড় ২ ব্লকের ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী। তাঁদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে বলে জানায় কমিশন। তাঁদের অভিযোগ ছিল যে, স্ক্রুটিনি শেষ হওয়ার পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে রাতারাতি তাঁদের নাম উধাও হয়ে গিয়েছে। গত ২২ জুন শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনকে ৮২ জন প্রার্থীর মনোনয়ন খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সব ঠিক থাকলে এই ৮২ জনকে ভোটে লড়তে দেওয়ার নির্দেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। সেই মামলারই এদিন আদালতে শুনানি ছিল। শুনানির পর সিঙ্গল বেঞ্চের রায় খারিজ করে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
অন্যদিকে উলুবেড়িয়া ১ ব্লকের বিডিও নীলাদ্রি শেখর দে-র বিরুদ্ধে নথি বিকৃতির অভিযোগ তুলে আদালতে দ্বারস্থ হন সিপিএম প্রার্থী কাশ্মীরা বেগম ও তনিমা বেগম। তাঁদের জাতিগত শংসাপত্রের নথি বিকৃতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চ এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে খারজি করে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।