শান্তিকুঞ্জের (বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি) সামনে কোনও রকম জমায়েত করা যাবে না। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। পুলিশকে আদালতের নির্দেশ, বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে বা কাছাকাছি যাতে জমায়েত না হয় কাঁথি থানাকে তা নিশ্চিত করতে বলতে হবে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে।
সোমবার নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতার সুস্থতা কামনা করে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের কর্মীরা শান্তিকুঞ্জের কাছে চলে গিয়েছিলেন। তাঁদের হাতে ছিল 'গেট ওয়েল সুন' লেখা একটি কার্ড। সেই কার্ডের একপাশে ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। এই কার্ড দিতে যাওয়ার সময় পুলিশ বাধা দিলে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে টিএমসিপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি হতে দেখা যায়। পুলিশ ওই কার্ড বিরোধী দলনেতার কাছে পৌঁছে দেবে এই আশ্বাসে শাসক দলের ছাত্ররা ওই কার্ডগুলি খাঁকি উর্দিধারীদের দিয়ে আসে।
সোমবারের এই ঘটনার নেপথ্যে 'অভিসন্ধি'র গন্ধ পেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মামলা করেন কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এ দিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে বা কাছে কোনওপ্রকার জমায়েত করা যাবে না।
এ দিনের শুনানিতে শুভেন্দুবাবুর আইনজীবী আদালতে জানান, ভালবাসার নাম করে তৃণমূলের লোকেরা বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে ফুল নিয়ে যাচ্ছে। তখন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, 'এমনটাও তো হতে পারে যে আপনার মক্কেলকে তাঁরা ভালবাসে।' পাল্টা শুভেন্দুর আইনজীবী জানান, এ কেমন ভালোবাসা যে ফুল নিয়ে গিয়ে অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করছে? এরপরই বিচারপতির মন্তব্য 'বেশি ভালবাসা মধুমেহর কারণ হতে পারে।'
বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে জমায়েতের দাবি সঠিক নয় বলে দাবি রাজ্য সরকারের। এই নিয়ে নবান্ন হলফনামা জমার করতে চায় বলে আবেদন করা হয়েছে। এর পরই হাইকোর্টের নির্দেশ, বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে কোনও জমায়েত করা যাবে না। আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।