কাটল বাধা। করোনা আবহেও গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি দিল কলাকাত হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে শর্তসাপেক্ষে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আদালতের তরফে গঠন করা হয়েছে একটি কমিটি। মেলায় রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কোভিডবিধি ঠিক মত কার্যকর হচ্ছে কিনা তাতে নজরদারিতে মুখ্যসচিব, বিরোধী দলনেতা ও মানবাধিকার কমিশনের এক সদস্যকে নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হবে বলে নির্দেশ আদালতের।
কোভিড আবহে এ বছরে গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ রাখার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন চিকিৎসক অভিনন্দন মণ্ডল। বুধবার সেই মামলার প্রথম শুনানি হয়েছিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে। আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, গঙ্গাসাগর মেলায় প্রতি বছর ১৮-২০ লক্ষ মানুষ আসেন। ২০২১ সালে কোভিড পরিস্থিতিতেও ৮ লক্ষ পুণ্যার্থী এসেছিলেন। রাজ্য সরকারও এ বছর মেলায় ৫ লক্ষ পূণ্যার্থী সাগরে যাওয়ার অনুমান করছে। এই অবস্থায় রাজ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি জমায়েত করতে পারবে না বলে নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। সাগরমেলাও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। তা হলে কি করে সেখানে সেখানে ৫ লক্ষ মানুষের জমায়েত সম্ভব? এপ্রসঙ্গে মামলাকারীর আইনজীবী উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের চারধাম যাত্রার রায়ের কথা তুলে ধরেন।
দুই বিচারপতির বেঞ্চ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের কাছে এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান জানতে চেয়েছিল। জবাবে বৃহস্পতিবার এজি জানিয়েছিলেন, কোভিড বিধি মেনে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটাইজার, মাস্ক ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে সাগরমেলায়। থাকছে অ্যাম্বুল্যান্সও।
এরপরেই এ দিনের শুনানিতে শর্ত সাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে মেলায় কোভিডবিধি ঠিক মতন মেনে চলা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে কড়া নজরদারি বজায়ের কথা বলা হয়েছে। এ জন্য ৩ সদস্যের এক কমিটি গঠন করে দিয়েছে হাইকোর্ট।