কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অনশন আন্দোলন। ছবি: শশী ঘোষ।
ছাত্র সংসদের নির্বাচন-সহ আরও দুটি দাবিতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অনির্দিষ্টকালীন অনশনে পড়ুয়ারা। ডাক্তারি পড়ুয়াদের অনশন আজ দ্বিতীয় দিনে পড়ল। অচলাবস্থা কাটার কোনও ইঙ্গিতই দেখা যাচ্ছে না। বরং সময় যত এগোচ্ছে পরিস্থিতি ততই জটিল হচ্ছে। শুক্রবার অনশনস্থলে গিয়েছিলেন দুই অধ্যাপক। সমস্যা মেটাতে আন্দোলকারীদের সঙ্গে কথা বলারও চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। তবে তাতেও সমস্যা মেটেনি। বরং ওই দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধেই অনশনরত পড়ুয়াদের হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়েছেন অধ্যাপকরা।
Advertisment
ছাত্র ভোট চেয়ে একটানা আন্দোলনের জেরে অচলাবস্থা জারি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আজ অনশনের দ্বিতীয় দিনে আরও অনড় অবস্থানে ডাক্তারি পড়ুয়ারা। ছাত্র সংসদের ভোট ছাড়াও আরও দুটি দাবি রয়েছে পড়ুয়াদের। সেই দাবি নিয়েই তাঁরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সুষ্ঠু আলোচনা চেয়েছেন। শুক্রবার দুই অধ্যাপক আন্দোলনকারীদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলেছেন। তবে তাতেও জট কাটেনি। এদিকে একাধিক চিকিৎসক সংগঠনের তরফেও মেডিক্যাল কলেজে দ্রুত ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে।
কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজে আনশন আন্দোলন। ছবি: শশী ঘোষ।
যদিও এদিন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানিয়েছেন, আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। অনশনস্থলে নিয়মিত চিকিৎসকরা যাচ্ছেন। তবে অন্দোলনরত পড়ুয়ারা তাঁদের সহযোগিতা করছেন না বলেও অভিযোগ অধ্যক্ষের। সুপার অঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ''আমরা সমস্যার সমাধান চাইছি। সব পক্ষের যুক্তিগ্রাহ্য মতামত দেওয়া উচিত। আমাদের তরফে যা যা করার তা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ও প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির সঙ্গে সকালেও কথা হয়েছে। যতক্ষণ না জট ছাড়ছে কিছু বলার অবস্থায় নেই।''
উল্লেখ্য, মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন-সহ আরও দুটি দাবিতে প্রথমে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ডাক্তারি ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়ায় এবার তাঁরা অনির্দিষ্টকালীন অনশন আন্দোলন শুরু করেছেন। নির্বাচনের বিষয়ে পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নিতে গেলে স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি লাগবে বলে জানিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সেই কারণেই আপাতত পড়ুয়াদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিতে আবেদন করেছেন তাঁরা। যদিও দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারে নারাজ ছাত্রছাত্রীরা। অনশনস্থলের সিসিক্যামেরা কাপড়ে ঢেকে দিয়ে চলছে আন্দোলন। এক্ষেত্রে পড়ুয়াদের যুক্তি, আন্দোলনকারীদের প্রাইভেসি মেইন্টেনের জন্যই তাঁদের এই তৎপরতা।