Bangladesh Quota Protest : বাংলাদেশের চলমান হিংসাত্মক বিক্ষোভের জেরে বাতিল করা হল ঢাকা–কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস। শুক্রবার এবং শনিবার দু’দিনের জন্য বাতিল করা হয়েছে ট্রেনের যাত্রা। দু’তরফেই ট্রেন যাতায়াত করবে না। রেলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আন্দোলন এবং হিংসার জেরে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে ৩৯ জন নিহত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আহত হয়েছেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। এদিকে বাংলাদেশের হিংসার ঘটনায় মৈত্রী এক্সপ্রেসের পাশাপাশি বাতিল করা হয়েছে কলকাতা – খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস। রেলের তরফে এই ঘোষণার পাশাপাশি জানানো হয়েছে যাত্রী সাধারণের অসুবিধার কারণে রেল গভীরভাবে দুঃখিত।
সরকারি ক্ষেত্রে সংরক্ষণের প্রতিবাদে আন্দোলন চলছে বাংলাদেশে। সব ধরনের চাকরিতে সংরক্ষণ বাতিলের দাবিতে পথে নেমেছে ওপার বাংলার ছাত্র সমাজ। ধীরে ধীরে এই আন্দোলন হিংসাত্মক আকার নিয়েছে। লাগাতার কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা-সহ দিকে দিকে চলা এই সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩৯ জনের, আহত কয়েক হাজার। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় রেলের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলে হয় শুক্রবার ঢাকা থেকে ছাড়বে না মৈত্রী এক্সপ্রেস। পাশাপাশি, শনিবার ঢাকার উদ্দেশে কলকাতা থেকে যে মৈত্রী এক্সপ্রেস ছাড়ে, সেটাও বাতিল করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, রবিবার কলকাতা-খুলনা এবং খুলনা-কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেসও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতীয় রেল।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় হাজার-হাজার ছাত্রছাত্রীর প্রবল প্রতিবাদের আগুন নেভাতে নেমেছিল সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। তাঁদের সঙ্গেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা। লাঠি-বাঁশ নিয়ে প্রতিবাদে নেমেছিল যুব সমাজ। সংবাদসংস্থা এপি স্থানীয় মিডিয়াকে ঊদ্ধৃত করে করে এই খবর জানিয়েছে। শুক্রবারও আন্দোলনকারীদের প্রতিবাদ অব্যাহত। পালটা রাস্তায় মোতায়েন রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও সশস্ত্র আওয়ামি লিগ কর্মী।
আরও পড়ুন - < West Bengal BJP: বঙ্গে সংখ্যালঘু সমর্থন নিয়ে দোলাচলে BJP! ঘোঁটেই আটকে শুভেন্দু-সুকান্তরা >
ঢাকা মহানগর এলাকায় সবরকম মিছিল, সভা, সমাবেশ, জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ বা ডিএমপি। এই ব্যাপারে ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছেন, সংরক্ষণ-বিরোধী আন্দোলনের সুযোগে কিছু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে ভিড়ে গিয়েছে। যা জনসাধারণের জীবন এবং সম্পত্তির নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করেছে। তাই জনগণের জীবন তথা নিরাপত্তা রক্ষার্থেই ঢাকায় সব ধরনের মিছিল সমাবেশ, সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে রেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে বাংলাদেশ জুড়ে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার পর থেকে আজ শুক্রবার বেলা ২টো পর্যন্ত কোন ট্রেন চলেনি।