Advertisment

গুলি করে-কুপিয়ে খুন পঞ্চায়েত সদস্য-সহ ৩ তৃণমূল নেতা, ক্যানিংয়ে বিরাট উত্তেজনা

বিধায়কের দাবি, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই নৃশংস খুনের নেপথ্যে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
TMC Flag

প্রতীকী ছবি

ফের দুষ্কৃতীদের নিশানায় শাসকদলের নেতারা। নৃশংস খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত ক্যানিং। বৃহস্পতিবার সাত সকালে ক্যানিংয়ের গোপালপুর এলাকায় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সহ-তিন জনকে গুলি করে, কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তবে খুনের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

Advertisment

জানা গিয়েছে, একুশে জুলাইয়ের কর্মসূচি নিয়ে একটি প্রস্তুতি বৈঠকের আয়োজন করা হয় ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের গোপালপুরের তৃণমূল পার্টি অফিসে। এদিন সকালে সেখানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য স্বপন মাঝি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভূতনাথ প্রামাণিক এবং হালদার নামে দুজন। এঁরা তৃণমূলের বুথ প্রেসিডেন্ট বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কচুয়া এলাকায় তাঁদের পথ আটকায় দুষ্কৃতীরা। তার পর পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়। এর পর কুপিয়ে রাস্তার উপর ফেলে দেওয়া হয়। গুলির আওয়াজে এলাকার লোকজন বেরিয়ে এলে বাইকে চেপে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।

আরও পড়ুন ‘বাপ-মায়ের ঠিকানা নেই!’, মমতাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, দিলীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

পুলিশ রাস্তার ধারে একটি জমির উপর থেকে তিনটি দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাসের দাবি, স্বপন খুন হতে পারে এমনটা কয়েক দিন আগেই আশঙ্ক হয়েছিল তাঁর। তাই তাঁকে নিজের কাছে আসতে বলেন বিধায়ক। স্বপনকে নিয়ে পুলিশের কাছে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর আগেই খুন হয়ে গেলেন স্বপন। বিধায়কের দাবি, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই নৃশংস খুনের নেপথ্যে।

যদিও খুনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে খুন হয়েছেন তিনজন। শাসকদলের দুই পক্ষের ঝামেলায় এই হত্যাকাণ্ড। আসল মাথা কে সবাই জানে। তাঁকে কেউ শাস্তি দিতে পারবে না।

tmc South 24 Pgs
Advertisment