ক্যানিংয়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য-সহ শাসক দলের তিন কর্মীকে খুনের ঘটনায় কুলতলি থেকে গ্রেফতার করা হল একজনকে। ধৃতের নাম আফতাবউদ্দিন। শুক্রবার গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ শূত্রে খবর, এই খুনের ঘটনায় এফআইআরে নাম থাকা বসিরউদ্দিনের দাদা ধৃত আফতাবউদ্দিন।
পুলিশের দাবি, জেরায় খুনের কথা কবুল করেছে আফতাবউদ্দিন। অভিযোগ, এই আফতাবউদ্দিনই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাজির গতিবিধির উপর নজর রেখেছিলেন। খুনিদের কাছে প্রতিনিয়ত মোবাইলে স্বপনের গতিবিধির বিষয়টি পৌঁছে দিয়েছিলেন। ৪ তারিখ সকাল থেকেই এই কাজ করেছে সে। গুলি ছোড়া ও কোপানোর সময়ও হাজির ছিল সে। এরপরই বাইকে চড়ে চম্পট দিয়েছিল আফতাবউদ্দিন।
তবে, গোপালপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য স্বপন মাজি, শাসক দলের কর্মী ভূতনাথ প্রামাণিক এবং ঝন্টু হালদারের খুনে মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দার এখনও অধরা। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি তালিয়েছে গোয়েন্দারা। পুলিশ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছিল। সূত্রের খবর, তাদের ও স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতেই আফতাবউদ্দিনের খোঁজ পায় পুলিশ।
শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল সিআইডির তিন প্রতিনিধি। এছাড়াও ফরেনসিক টিমের প্রতিনিধিরাও গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে।
রফিকুলের মায়ের দাবি, সে তৃণমূলের কর্মী। যদিও তা মিথ্যা দাবি বলে দাবি করেছেন ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক পরেশ রাম দাস।