চলতি মাসে ভোট ঘোষণা হবে কিনা তা নিয়ে জোর জল্পনা। তার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে এসেছে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ধাপে ধাপে রাজ্যে ১২৫ কোম্পানি বাহিনী এসে যাবে বলে কমিশন সূত্রে খবর। ভোট ঘোষণার আগে কমিশনের এই পদক্ষেপ ‘বেনজির’। তাহলে কী ভোটের বাংলায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে অসন্তুষ্ট কমিশন? এই প্রশ্নে তরজায় শাসক-বিরোধী শিবির। এবার বিতর্কের জবাব দিতে আসরে নামল নির্বাচন কমিশন। সোমবার এই নিয়ে মুখ খুলল কমিশন।
সোমবার কমিশনের তরফে জানানো হয়, শুধু বাংলায় নয়, যেকটি রাজ্যে ভোট রয়েছে সব জায়গাতেই বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। বাংলা-সহ আসাম, কেরালা এবং তামিলনাড়ুতেও কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ভোট ঘোষণার আগেই বাহিনী পাঠানো নিয়ে কটাক্ষের জবাবে বিবৃতি জারি করল নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যের শাসক দলের কটাক্ষ ছিল, বিজেপি ভোটকে যুদ্ধ হিসাবে দেখছে, নির্বাচন হিসাবে নয়। এর প্রেক্ষিতে কমিশন জানিয়েছে, ভোটের আগে এলাকাগুলিতে আগাম এরিয় ডমিনেশনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে। বিশেষ করে স্পর্শকাতর-উদপ্রুত এলাকাগুলিতে, সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য সূত্রের খবর পেয়েই এই সিদ্ধান্ত।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিকের থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, বাংলায় ৬০ কোম্পানি সিআরপিএফ মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও থাকবে ৩০ কোম্পানি এসএসবি ও ২৫ কোম্পানি বিএসএফ। আর ৫ কোম্পানি করে মোতায়েন থাকবে সিআইএসএফ ও আইটিবিপি জওয়ানরা। প্রতি কোম্পানিতে থাকে ৮০-১০০ জওয়ান। ভোটের বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় উপদ্রুত এলাকা টহলদারির কাজ করবেন এঁরা।
বিগত দিনে ভোটের আগেই কমিশনের এ রাজ্যে বাহিনীর মোতায়েনের নজির নেই। তাই কমিশনের পদক্ষেপে কিছুটা হতচকিত রাজ্য প্রশাসন। উল্লেখ্য, এইসব বাহিনীর ব্যয়ভার রাজ্যকেই বহন করতে হবে। তাই ক্ষয়িষ্ণু কোষাগারের কথা মাথায় রেখে কিছুটা চিন্তিত মমতার প্রশাসন। বাংলায় আগত ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় রুটমার্চ শুরু করেছে। এই কাজ আগামী দিনে রাজ্যের সব রাজনৈতিকভাবে উপদ্রুত এলাকায় চলবে বলে কমিশন সূত্রে খবর।