বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের অভিযোগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হল। তৃণমূলের অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার ও আসানসোলে কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই অভিযোগে নন্দকুমার থানায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন কাঁথির আইনজীবী আবু সোহেল।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নিজে অব্শ্য এই মামলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ। বিজেপির পক্ষ থেকে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, এই মামলার পিছনে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। সেই কারণে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী।
এর আগেও রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি মামলায় হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনও পেয়ে গিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু। এর মধ্যে আবার পুলিশকে হুমকি সংক্রান্ত মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে নোটিস পাঠিয়েছে তমলুক থানা।
আরও পড়ুন- যেন ঝাড়খণ্ডের রিপ্লে, বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক কিনে তেলেঙ্গানায় সরকার ফেলার চেষ্টার অভিযোগ
২০২১ সালে শুভেন্দু এক জনসভায় পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, 'এমন কাজ করবেন না, যাতে কাশ্মীরে গিয়ে ডিউটি করতে হয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে অনেক আইসি, এসআইদের নাম রয়েছে।'
সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে তমলুক থানার পুলিশ। তবে, শুধু শুভেন্দু অধিকারীই নন। চার বিজেপি বিধায়ক ও একাধিক বিজেপি নেতা এবং কর্মীর বিরুদ্ধেও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোট ১৫ জন বিজেপি নেতা ও কর্মীকে নোটিসও দেওয়া হয়েছে।
শুভেন্দুকে দেওয়া নোটিসে পুলিশ পছন্দমত জায়গা ও সময় জানতে চেয়েছে। যাতে সেখানে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, তাঁকে হয়রান করার জন্য পুলিশকে বারবার কাজে লাগাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। তবে, তিনি গোটা বিষয়টির আইনি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।
এই প্রসঙ্গে রবিবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'আমি বলেছি, আবার বলছি, মোমিনপুরে হিন্দুরা আক্রান্ত হয়েছে। বাড়িঘর দুয়ার ভেঙেছে। এতে নতুন কথার কী আছে? এতে অন্য ধর্মের লোকের পুলিশে গিয়ে অভিযোগ করারই বা কী আছে? আর পুলিশের কেস করারই বা কী আছে? জামিনযোগ্য, অযোগ্য আমার কাছে এগুলো কোনও বিষয় নয়। আমি সবসময় বিবেকানন্দর কথা বলি। বিবেকানন্দ যেমন বলেছিলেন, গর্ব করে বল আমি হিন্দু। সাথে সাথে এটাও তিনি বলেছিলেন যে নিজের ধর্মের প্রতি আস্থাশীল। অপর ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি সেই নীতিতে বিশ্বাস করি। আমার সার্টিফিকেট কাউকে দিতে হবে না। আর, এইরকম মামলা মমতা ব্যানার্জি হেরে যাওয়ার পরে আমার বিরুদ্ধে ২১, ২২টা করেছেন। আরও দু'চারটা বাড়বে, তাতে আমার বিশেষ ক্ষতি হবে না।'
কালীপুজোর উদ্বোধনে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা
'মোমিনপুরের ঘটনা নিয়ে বলেছি। অন্য ধর্মের মানুষের আমার বিরুদ্ধে মামলা করার কি আছে?', প্রশ্ন শুভেন্দুর
Follow Us
বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের অভিযোগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হল। তৃণমূলের অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার ও আসানসোলে কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই অভিযোগে নন্দকুমার থানায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন কাঁথির আইনজীবী আবু সোহেল।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নিজে অব্শ্য এই মামলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ। বিজেপির পক্ষ থেকে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, এই মামলার পিছনে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। সেই কারণে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী।
এর আগেও রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি মামলায় হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনও পেয়ে গিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু। এর মধ্যে আবার পুলিশকে হুমকি সংক্রান্ত মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে নোটিস পাঠিয়েছে তমলুক থানা।
আরও পড়ুন- যেন ঝাড়খণ্ডের রিপ্লে, বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক কিনে তেলেঙ্গানায় সরকার ফেলার চেষ্টার অভিযোগ
২০২১ সালে শুভেন্দু এক জনসভায় পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, 'এমন কাজ করবেন না, যাতে কাশ্মীরে গিয়ে ডিউটি করতে হয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে অনেক আইসি, এসআইদের নাম রয়েছে।'
সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে তমলুক থানার পুলিশ। তবে, শুধু শুভেন্দু অধিকারীই নন। চার বিজেপি বিধায়ক ও একাধিক বিজেপি নেতা এবং কর্মীর বিরুদ্ধেও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোট ১৫ জন বিজেপি নেতা ও কর্মীকে নোটিসও দেওয়া হয়েছে।
শুভেন্দুকে দেওয়া নোটিসে পুলিশ পছন্দমত জায়গা ও সময় জানতে চেয়েছে। যাতে সেখানে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, তাঁকে হয়রান করার জন্য পুলিশকে বারবার কাজে লাগাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। তবে, তিনি গোটা বিষয়টির আইনি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।
এই প্রসঙ্গে রবিবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'আমি বলেছি, আবার বলছি, মোমিনপুরে হিন্দুরা আক্রান্ত হয়েছে। বাড়িঘর দুয়ার ভেঙেছে। এতে নতুন কথার কী আছে? এতে অন্য ধর্মের লোকের পুলিশে গিয়ে অভিযোগ করারই বা কী আছে? আর পুলিশের কেস করারই বা কী আছে? জামিনযোগ্য, অযোগ্য আমার কাছে এগুলো কোনও বিষয় নয়। আমি সবসময় বিবেকানন্দর কথা বলি। বিবেকানন্দ যেমন বলেছিলেন, গর্ব করে বল আমি হিন্দু। সাথে সাথে এটাও তিনি বলেছিলেন যে নিজের ধর্মের প্রতি আস্থাশীল। অপর ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি সেই নীতিতে বিশ্বাস করি। আমার সার্টিফিকেট কাউকে দিতে হবে না। আর, এইরকম মামলা মমতা ব্যানার্জি হেরে যাওয়ার পরে আমার বিরুদ্ধে ২১, ২২টা করেছেন। আরও দু'চারটা বাড়বে, তাতে আমার বিশেষ ক্ষতি হবে না।'