SSC recruitment notification challenged: আবারও SSC-এর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ঘিরে জোরালো জটিলতা তৈরি হল। এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন নিয়োগ বিধিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন ২০১৬ সালের SSC-এর ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীরা। মামলা দায়েরর অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনাতি হতে পারে।
উল্লেখ্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ৩১ মের মধ্যেই নতুন করে শিক্ষক নিয়োগে চাকরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তবে SSC-এর এই নয়া বিজ্ঞপ্তি নিয়ে আপত্তি রয়েছে যোগ্য চাকরিহারাদের। ২০১৬ সালের ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীরা মামলাটি করেছেন। তাঁদের বক্তব্য নতুন বিধি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী। তাঁদের আরও অভিযোগ, শুধুমাত্র স্নাতক, স্নাতকোত্তরে প্রাপ্ত নম্বর পাওয়ার বিষয়টিকেই নয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের মেধার নম্বর গ্রাহ্য করা হচ্ছে না।
আগে লিখিত পরীক্ষার নম্বর ছিল ৫৫, এবার তা বেড়ে হয়েছে ৬০। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য এই প্রথম ১০ নম্বর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও লেকচার ডেমোস্ট্রেশনের জন্য থাকছে ১০ নম্বর। অর্থাৎ শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা এবং পড়ানোর দক্ষতার জন্য অতিরিক্ত ২০ নম্বর দেওয়া হচ্ছে। ইন্টারভিউয়ের জন্য আগের মতই ১০ নম্বর থাকছে নতুন এই নিয়োগ পদ্ধতিতে।
নম্বরের এই বিভাজন নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়েছিলেন যোগ্য চাকরিহারারাও। এসএসসি-র নয়া এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে চ্যালেঞ্জ করে মামলাকারীদের বক্তব্য, অভিজ্ঞতার নম্বর থেকে শুরু করে বয়সের ছাড় সবেতেই নির্দেশ মানা হয়নি।
আরও পড়ুন- Kolkata News Live Updates:সূত্রের খবরে অতর্কিতে হানা, তৃণমূলকর্মীর বাড়িতে মিলল কাশ্মীরের জঙ্গিদের হাতে থাকা স্টেনগান?
এসএসসি-র নয়া শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে চ্যালেঞ্জ করে মামলাকারীদের দাবি, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিধি ২০১৬ সালের মতোই করতে হবে। তাঁদের বক্তব্য ২০২৫ সালের নিরিখে ৯ বছর আগের নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিধি তৈরি করা একেবারেই অনৈতিক কাজ। বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় মামলার অনুমতি দিয়েছেন। আগামী ৫ জুন কলকাতা হাইকোর্টে মামলাটির শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন- Coronavirus: ঝড়ের গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ, কলকাতায় করোনা আক্রান্ত মহিলার মৃত্যু, উদ্বেগ চরমে