Advertisment

Kanchanjunga Express Train Accident: দুর্ঘটনায় মৃত মালগাড়ির চালকের বিরুদ্ধেও মামলা, সহচালকের বরাতজোরে প্রাণে বাঁচার গল্প চমকে দেবে!

West Bengal Train Accident: সোমবার নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে মালগাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন লোকো পাইলট অনিল কুমার। সঙ্গে ছিলেন সহকারি মন্নু কুমার। দু'জনেই কর্মসূত্রে পরিবার নিয়ে শিলিগুড়িতে থাকেন। মালগাড়ি নিয়ে বেরিয়ে রাঙাপানি স্টেশন পর্যন্ত এসেছিলেন তাঁরা। ৮টা নাগাদ অনিল বাড়িতে ফোন করে স্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলেন। সিগন্যাল পেয়ে রাঙাপানি স্টেশন থেকে বেরিয়ে কিছুটা এগিয়ে যায় মালগাড়ি। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ৫০০ মিটার আগে বাঁক নিয়ে মেন লাইনে প্রবেশ করে সেটি। এরপরই সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা।

IE Bangla Web Desk এবং Nilotpal Sil
New Update
case has been filed against driver and co driver of goods train in Kanchanjunga Express accident

Kanchanjunga Express Train Accident: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মামলা দায়ের।

Kanchanjunga Express, West Bengal Train Accident: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মালগাড়ির চালক ও সহকারি চালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল। চৈতালি মজুমদার নামে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের এক যাত্রীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেছে রেল। চালক অনিল কুমার এবং সহকারি চালক মন্নু কুমারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযোগ, বেপরোয়া গতিতে ট্রেন চালানোর কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

Advertisment

সোমবার সকালে ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় লোকো পাইলট অনিল কুমারের মৃত্যু হলেও উপস্থিত বুদ্ধির জোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন সহকারি চালক মন্নু কুমার। প্রাথমিকভাবে মন্নু তদন্তকারী দলের কাছে যে বিবৃতি দিয়েছেন সেই অনুযায়ী, চোখের সামনে মৃত্যু অবধারিত দেখে চালকের আসন থেকে নেমে নীচের দিকে বসে গিয়েছিলেন তিনি। আর এতেই সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে নিজের প্রাণ ছিনিয়ে আনতে পেরেছেন বছর ৩২-এর মন্নু।

আপাতত শিলিগুড়ির খালপাড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। তাঁর মাথায় এবং বুকে চোট রয়েছে। ICU-তে রাখা হয়েছে তাঁকে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই তরুণ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। যদিও রেলের কোনও আধিকারিক এনিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। রেল সূত্রের খবর, সহকারি লোকো পাইলট সুস্থ হলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

আরও পড়ুন- Air cooler in Govt. School: অসহনীয় গরমে এ যেন স্বপ্নের স্বস্তি! এবার সরকারি স্কুলেও এয়ারকুলার

সোমবার নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে মালগাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন লোকো পাইলট অনিল কুমার। সঙ্গে ছিলেন সহকারি মন্নু কুমার। দু'জনেই কর্মসূত্রে পরিবার নিয়ে শিলিগুড়িতে থাকেন। মালগাড়ি নিয়ে বেরিয়ে রাঙাপানি স্টেশন পর্যন্ত এসেছিলেন তাঁরা। ৮টা নাগাদ অনিল বাড়িতে ফোন করে স্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলেন। সিগন্যাল পেয়ে রাঙাপানি স্টেশন থেকে বেরিয়ে কিছুটা এগিয়ে যায় মালগাড়ি। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ৫০০ মিটার আগে বাঁক নিয়ে মেন লাইনে প্রবেশ করে সেটি। এরপরই সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা।

আরও পড়ুন- Mamata-Ananta Maharaj: অনন্ত মহারাজের বাড়িতে মমতা, বিজেপি সাংসদের সঙ্গে কী নিয়ে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর?

ঠিক কী ঘটেছিল, তা এখন একমাত্র জানা রয়েছে সহকারি লোকো পাইলটের। চোখের সামনে বিপদ দেখে জরুরি ব্রেক কষেছিলেন লোকো পাইলট অনিল। কিন্তু মন্নু বুঝে গিয়েছিলেন যে ব্রেক কষলেও বিপদ অবধারিত। তাই নিজের আসন ছেড়ে নীচে বসে পড়েন তিনি। দুর্ঘটনায় চোট পেয়ে জ্ঞান হারালেও নিজের বুদ্ধিতে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন মন্নু। জ্ঞান ফেরার পর থেকে তিনি শুধু খোঁজ করে চলেছেন অনিলের।

আরও পড়ুন- Kanchanjunga Express Train Accident: হল না শেষ রক্ষা! চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে মর্মান্তিক মৃত্যু ফুটফুটে শিশুকন্যার

indian railway police West Bengal Train Accident kanchanjunga express accident
Advertisment