যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর কলকাতার গুরুদাস কলেজে র্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠায় শোরগোল পড়েছে। এক্ষেত্রেও কাঠগড়ায় ওই কলেজেরই দুই প্রাক্তনী। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ জন্য শিয়ালদহ কোর্টের এসিজেএম-এর থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েছে পুলিশ।
দিন কয়েক আগে, গুরুদাস কলেজের এক পড়ুয়া অভিযোগ করেন যে, তিনি র্যাগিংয়ের শিকার। ওই ছাত্রই অভিযোগ জানান ইউজিসি'কে। 'নির্যাতিত' ছাত্রের অভিযোগের তালিকায় ছিলেন কলেজেরই দুই প্রাক্তনী। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন গুরুদাস কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সোহম চক্রবর্তী।
অভিযোগ পেয়ে কলেজকে পাল্টা মেল করে ইউজিসি। যেখানে উল্লেখ ছিল যে, এক পড়ুয়ার থেকে তারা র্যাগিংয়ের অভিযোগ মিলেছে। ওই পড়ুয়াকে চিহ্নিত করে কলেজ কর্তৃপক্ষকে কাউন্সেলিং করতে হবে। ওই পড়ুয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে ইউজিসি'র নিয়ম মেনে কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ করতে হবে। তবে অভিযোগকারী ছাত্রের পরিচয় গোপন রাখতে হবে।
ওই ছাত্রের অভিযোগ এবং ইউজিসির মেলের পর কী পদক্ষেপ করেছে গুরুদাস কলেজ? এ নিয়ে কোনও কিছু খোলসা করেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের তরফে বলা হয়, ইউজিসি'র চূড়ান্ত রিপোর্ট পেলে এই ইস্যুতে কর্তৃপক্ষ সব জানাবেন।
ব়্যাগিংয়ের অভিযোগের পরও অভিযোগকারী ছাত্রটিকে শাসানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণণূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। এসএফআই'য়ের অভিযোগ গত সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাতে অভিযোগকারী ছাত্র'টিকে একপ্রকাশ শাসিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সভায় না গেলে পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে বলে নাকি হুমকি দেওয়া হয়েছিল।