এরাজ্যে ফের নতুন এক অনিয়ম-অভিযোগের তদন্ত শুরু করতে চলেছে সিবিআই? বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে আগামী সপ্তাহেই। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকার গরমিলের অভিযোগে এবার তদন্তে রাজি কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী জানিয়েছেন, আদালত নির্দেশ দিলে এক্ষেত্রে প্রাথমিক অনুসন্ধানে রাজি সিবিআই। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি।
২০২১ সালের ক্যাগের একটি রিপোর্টকে হাতিয়ার করে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারে বিভিন্ন প্রকল্পের খাতে রাজ্য সরকারকে দেওয়া ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গরমিলের অভিযোগ ওঠে। সেই গরমিলের অভিযোগেই দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। আগামী সপ্তাহে মামলার শুনানি।
উল্লেখ্য, এরাজ্যে কেন্দ্রের দেওয়া টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ বারবার তুলেছে বঙ্গ বিজেপি। কেন্দ্রীয় সরকার বাংলায় একাধিক প্রকল্পে টাকা ঢাললেও সেই টাকা অন্য খাতে খরচ হয় বলেও অভিযোগ বিজেপি নেতাদের একাংশের। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে 'দুর্নীতি'র অভিযোগ উঠেছে। সাম্প্রতিক সময়ে সব চেয়ে বড় অনিয়মের অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পাকা ঘরের অনুমোদন নিয়ে। অবস্থাম্পন্নদের দুর্নীতি করে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বাড়ি পাইযে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপর্যুপরি সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এরাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পর্যন্ত ঘুরে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- রাজ্যপালে চটে লাল তৃণমূল, কিন্তু আনন্দ-আচরণে খুঁত পাচ্ছেন না স্পিকার!
ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে বেশ কয়েকটি দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি। এসএসসি-তে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে প্রাইমারি টেট, গরু, কয়লা পাচার, বগটুই হত্যাকাণ্ড-সহ একাধিক তদন্তের কাজে অনেকটাই এগিয়েছে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা। দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে বর্তমানে জেলে রয়েছেন শাসকদল তৃণমূলের একের পর এক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের মতো নেতারা মাসের পর মাস ধরে জেলবন্দি রয়েছেন। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে সিবিআইয়ের কাজের পরিধি এমনিতেই বহুলাংশে বেড়ে গিয়েছে। এর উপর আগামী সপ্তাহে হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকার অনিয়ম অনুসন্ধানে সিবিআইকেই দায়িত্ব দিলে তাঁদের কাজের পরিধি আরও বিস্তৃত হতে চলেছে।