বগটুই হত্যা মামলায় বড়সড় সাফল্য পেল সিবিআই। অবেশেষে গ্রেফতার করা হল বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে এতদিন লুকিয়েছিল লালন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে লালনকে ঝাড়খণ্ডের কোনও একটি জায়গা থেকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
রামপুরহাটের বগটুই হত্যাকাণ্ড এরাজ্য তো বটেই গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। পরপর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল মহিলা-পুরুষ-শিশু-সহ সাতজনকে। সেই ঘটনায় মূল অভিযুপ্ত ছিল এই লালন শেখ। নিহত বগটুই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখের ছায়াসঙ্গী ছিল এই লালন। অভিযোগ, ভাদু খুনের পর লালনের নির্দেশেই বগটুই গ্রামে পরপর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে রোমহর্ষক সেই হত্যালীলার নেতৃত্ব দিয়েছিল লালন, ওঠে এমনও অভিযোগ। বগটুই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বারবার উঠে এসেছে লালন শেখের নাম। কিন্তু ততদিনে পগার পার লালন।
আরও পড়ুন- ‘অনেক বেশি পেয়েছে’, গ্রামবাসীদের ‘না-পাওয়া’ ক্ষোভ সামলাতে সাফ জবাব শতাব্দীর
তদন্তে নেমে একাধিক সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করেছে সিবিআই। এছাড়াও বগটুই গ্রামে গিয়েও বাসিন্দাদের সঙ্গে বহুবার কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। অনেকের কথাতেই লালন শেখের নাম উঠে এসেছিল। সিবিআই বগটুই হত্যা মামলায় যে চার্জশিট জমা দিয়েছে তাতেও লালনের নাম ছিল। চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত হিসেবেই লালেনর নাম থাকলেও এতদিনে তার নাগাল মেলেনি।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বগটুই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরই দফায় দফায় জেরায় ফেরার লালনের সম্ভাব্য গতিবিধির আঁচ পান তদন্তকারীরা। সেই মতো বিভিন্ন সূত্র ধরে লালনের খোঁজে তল্লাশি চালিয়েছেন গোয়েন্দারা। শেষমেশ শনিবারই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সম্ভবত ঝাড়খণ্ডের কোনও একটি জায়গায় এতদিন লুকিয়েছিল লালন। তবে শেষ রক্ষা হল না। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।