সিবিআই তলবের মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে বিরাট স্বস্তি সুবোধ অধিকারীর। সোমবার হাইকোর্ট জানিয়েছে, দিনে তিন ঘণ্টার বেশি জেরা করা যাবে না বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ককে। পাশাপাশি, সিবিআইকে আরও নির্দেশ, সুবোধকে তলব করলে আগে থেকে নোটিস দিতে হবে।
সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিশ্বরূপ চৌধুরির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সুবোধকে সাক্ষী হিসাবে ডাকলে ৭২ ঘণ্টা আগে নোটিস দিতে হবে সিবিআইকে। আর অভিযুক্ত হিসাবে ডাকলে ১০ দিন আগে সমন দিতে হবে। এই সময়ের মধ্যে কোনওভাবে তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না।
তবে সুবোধের জন্যও নির্দেশ রয়েছে হাইকোর্টের। উচ্চআদালত জানিয়েছে, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সুবোধকে সমস্ত নথি সিবিআইয়ের কাছে জমা দিতে হবে। চিটফান্ড মামলায় এর আগে সুবোধ অধিকারীকে তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু দুবারই হাজিরা এড়িয়েছেন বিধায়ক। প্রথমবার তলব পাওয়ার পর ১৫ দিন সময় চান সুবোধ। পরে আবার তাঁকে সমন পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন জেলবন্দি পার্থর জন্য নয়া আসন বরাদ্দ, বিধানসভায় কোথায় বসবেন প্রাক্তন মন্ত্রী?
সিবিআইয়ের তলবের বিরুদ্ধে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বীজপুরের বিধায়ক। সেই মামলাতেই সোমবার এই নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। দিনে তিন ঘণ্টার বেশি জেরা করা যাবে না সুবোধকে। সুবোধের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় হাইকোর্টে জানিয়েছেন, "এর আগে মদন মিত্র বা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, ৮-৯ ঘণ্টা জেরার পর গ্রেফতার করা হয়েছে। মদন-সুদীপদের ক্ষেত্রে যা হয়েছে এ ক্ষেত্রে সেটা হবে না। সবার নিরাপত্তার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে।"