পোস্টিং 'দুর্নীতি' মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায় দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলায় সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ৩৫০ জন প্রাথমিক শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির যুক্তি, পোস্টিং 'দুর্নীতি'র মাধ্যমে ওই শিক্ষকদের চাকরি পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে সিবিআই।
২০২০ সালে রাজ্য সরকার প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করেছিল। কোন স্কুলে কার কীভাবে পোস্টিং হবে তা নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে। অনিয়মের অভিযোগ তুলে কয়েক জন শিক্ষক মামলা করেছিলেন। গত ২৫ জুলাই এ বিষয়ে সিবিআই, ইডির তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সে দিনই রাতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে প্রথামিক শিক্ষা সংসদের অপসারিত চেয়ারম্যান তথা নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যকে জেরার নির্দেশ দিয়েছিলেন সিবিআইকে। পোস্টিং 'দুর্নীতি' মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। সেই জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও রেকর্ড আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
হাইকোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাঁর ভিডিও ফুটেজ পেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে।
আরও পড়ুন- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কারা চাকরি’র যোগ্য? বিরাট নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের