জেরায় অসহযোগিতা অনুব্রত মণ্ডলের। কোনও প্রশ্নেরই নাকি 'ঠিকঠাক' উত্তর দিচ্ছেন না কেষ্ট। অনেক প্রশ্নেরই উত্তর তিনি এড়িয়ে যাচ্ছেন বলেও সূত্রের দাবি। এমনকী তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী সায়গল হোসেনের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির পিছনেও তাঁর কোনও ভূমিকা নেই বলেই দাবি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির। দিন কয়েক আগেই অনুব্রত মণ্ডলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার আশ্বাসের পর থেকেই জেরায় কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন তৃণমূল নেতা।
সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার কাণ্ডে তাঁকে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। তবে সিবিআই সূত্রের খবর, জেরায় অসহযোগিতা করছেন তৃণমূল নেতা। গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে এর আগেই অনুব্রত মণ্ডলের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সায়গলকে জেরায় তাঁর পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। সিবিআইয়ের দাবি, সায়গলের এই সম্পত্তি বৃদ্ধির পিছনে সরাসরি যোগ রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের।
আরও পড়ুন- ‘মুখ্যমন্ত্রী জড়িত থাকলে ওঁর বাড়িতেও ED-CBI যাবে’, হুংকার সুকান্তর
সায়গলের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে প্রশ্ন করেন গোয়েন্দারা। তবে সূত্রের দাবি, সায়গলের সম্পত্তির ব্যাপারে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই বলেই দাবি করেছেন অনুব্রত। সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশেই এনামুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সায়গল। যদিও তদন্ত সংস্থার সেই দাবিও নস্যাৎ করেছেন অনুব্রত। এক কথায় গরু পাচার মামলায় সব দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি।
তবে এর আগে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করেছে সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, কেষ্টর মদতেই বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, এমনকী কলকাতাতেও একাধিক সম্পত্তির মালিক হয়েছেন সায়গল হোসেন। যদিও জেরায় অবশ্য সায়গলের সম্পত্তির বৃদ্ধিতে তিনি কিছুই জানেন না বলেই দাবি করেছেন তৃণমূলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা।
দিন কয়েক আগেই অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের দাবি, তারপর থেকেই জেরায় মুখে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ সম্পর্কেই হয় চুপ রয়েছেন নয়তো দায় ঝাড়ছেন। এদিকে, আজ ফের এক দফায় আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা অনুব্রত মণ্ডলের।