ঠিক যেন সিনেমা! তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার দুটি মোবাইল উদ্ধারে কত কাণ্ডই না ঘটে গেল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তল্লাশি, পাম্প দিয়ে পুকুরের জল ছেঁচা, জেসিবির ব্যবহার। তারপর মিলল বিধায়কের একটি মোবাইল। পরে উদ্ধার হয় তাঁর আরও একটি মোবাইল। তখন অবশ্য সিবিআইয়ের জালে তৃণমূল বিধায়ক। মোবাইল মিলতেই উদ্ধারকারীদের নিয়ে হুড়োহুড়ি। এসবের পর দু'দিন পার। অভিযোগ, এখনও মোবাইল উদ্ধারকারীদের কোনও পারিশ্রমিক দেয়নি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি। ফলে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমছে বড়ঞাবাসীর একাংশের।
মোবাইল উদ্ধারকারী শ্রমিকদের দৈনিক রোজ পাঁচশো টাকা দেওয়ায় সম্মতি দিয়েছিল সিবিআই। তারপরই ও কাজে লোকলস্কর জোগান দেন বড়ঞার শাবলদহ অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি সাধন প্রামাণিক। আনা হয় জেসিবি-ও। কিন্তু, কাজ ফুরোতেই নাকি ফুরুত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দল। এখন কাকে বলে পারিশ্রমিক আদায় করা যায় তা নিয়েই মাথা ব্যথা সাধনদের। তিনি জানান, লেবাররা তো টাকা না নিয়ে যাবে না, প্রয়োজনে ধার করে হলেও টাকা মেটাতে হবে। সিবিআইয়ের লোকেরা না বলে চলে যাবে বুঝতে পারা যায়নি।
আরও পড়ুন- ফের কী বাংলার চাণক্য মুকুলের আড়ম্বরপূর্ণ ‘প্রত্যাবর্তন’? ভয়ঙ্কর দ্বিধায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব
আপাতত মোবাইল উদ্ধার অভিযানে কত খরচ হয়েছে? সিবিআইয়ের থেকে কত টাকা পাওনা? শাবলদহ অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি সাধন প্রামাণিকের কথায়, ২৮ জন শ্রমিকের ১৪ হাজার টাকা, আর পাম্প, জেসিবি সব ধরে টাকার সেই অঙ্কটা পৌঁছেছে ৩৬ হাজারে।