গুণের শেষ নেই পার্থর! টাকা লুকোতে একগুচ্ছ ভুয়ো সংস্থা? সূত্রের দাবিতে চর্চা চুঙ্গে

নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে এবার চাঞ্চল্যকর একটি তথ্য সামনে এসেছে।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে এবার চাঞ্চল্যকর একটি তথ্য সামনে এসেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
CBI found several fake companies in recruitment corruption probe

পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে এবার চাঞ্চল্যকর একটি তথ্য সামনে এসেছে। কমপক্ষে ৩৫টি ভুয়ো সংস্থার খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। এই সংস্থাগুলির মাধ্যমেই কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা চলতো বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। ইতিমধ্যেই এব্যাপারে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও এবার নাম জড়িয়েছে এই ভুয়ো সংস্থার। এক্ষেত্রে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ সিবিআইয়ের?

Advertisment

কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা লুকোতে ভুয়ো সংস্থা খুলে বসেছিলেন পার্থও?

সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই। সেই রিপোর্টেই ৩৫টি ভুয়ো সংস্থার উল্লেখ রয়েছে। ওই সংস্থাগুলির মধ্যে কয়েকটি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় খুলেছিলেন বলেও দাবি সিবিআই সূত্রের। চাকরি দুর্নীতির টাকা এই ভুয়ো সংস্থাগুলির মাধ্যমেই সাদা করার প্রচেষ্টা চলতো বলে সন্দেহ সিবিআইয়ের। না জানিয়েই এমন অনেককে এই ভুয়ো সংস্থাগুলির শীর্ষ পদে রেখে দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি সিবিাইয়ের। পরবর্তী সময়ে তদন্তে সেই সব ব্যক্তিরাই এমন অভিযোগ তদন্তকারীদের কাছে জানিয়েছেন বলে দাবি সূত্রের।

সিবিআই জানিয়েছে, এই সব ভুয়ো সংস্থাগুলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ফরেন্সিক অডিট চলছে। ভুয়ো সংস্থাগুলির প্রতিটি অ্যাকাউন্টের লেনদেন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিবিআইয়ের দাবি, ফরেনসিক অডিটের প্রক্রিয়া শেষ বলেই বহু বিষয় পরিস্কার হয়ে যাবে। ওই সব ভুয়ো সংস্থাগুলির অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আসলে কারা কারা 'লাভবান' হতেন সেই বিষয়টিও দিনের আলোর মতো পরিস্কার হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

Advertisment

আরও পড়ুন- ‘বিরাট’ ষড়যন্ত্রের অভিযোগ কংগ্রেসের! রানিনগরে বোর্ড গঠনে ফের স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

এদিকে, মঙ্গলবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তেড়েফুঁড়ে তল্লাশিতে সিবিআই। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সল্টলেক এবং হাওড়ার দাশনগর সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দাদের। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট নষ্টের অভিযোগ উঠেছে ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’ নামের এক সংস্থার বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন- কঠোর পদক্ষেপ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের, মুর্শিদাবাদের ডিআই-এর বিরুদ্ধে চরম নির্দেশ

ওএমআর সিট দেখে নম্বর দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ওই সংস্থাকে। সেই কোম্পানির মালিক কৌশিক মাজিকে নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’র দফতর, গোডাউনে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। পাশাপাশি, কৌশিক মাজির বাড়িতেও অভিযান চলে।

partha chatterjee West Bengal WB SSC Scam cbi Recruitment Scam