ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে এবার সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি আইসি সঞ্জীব ঘোষ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একটানা কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষকে। তপন কান্দু খুনে শুরু থেকেই ঝালদার আইসি-র বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠলেও তাঁকে ক্লিনচিট দিয়েছিলেন খোদ পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার। তবে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের তদন্তভার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে যাওয়ার পরেই নয়া মোড়।
পুরুলিয়ার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে শুরু থেকেই আইসি সঞ্জীব ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। ভাইরাল হওয়া একটি অডিও ক্লিপিংয়ে (সেই অডিও ক্লিপিংয়ের সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা) আইসি সঞ্জীব ঘোষের গলা শোনা যায় বলে দাবি করা হয়। সেই ক্লিপিংসটি ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায়। শুরু থেকে এই ঘটনার তদন্ত করছিল রাজ্য পুলিশ। খোদ পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার জানিয়ে দেন তপন কান্দু খুনে আইসি-র জড়িত থাকার প্রমাণ মেলেনি।
তবে এক্ষেত্রে নয়া মোড় আসে হাইকোর্টের রায়ের পরে। উচ্চ আদালত তপন কান্দু খুনের তদন্তভার রাজ্য পুলিশের হাত থেকে নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দেয়। এরপরেই সিবিআই স্ক্যানারে পড়ে যান ঝালদার আইসি সঞ্জীব ঘোষ। বৃহস্পতিবার তাঁকে ডেকে পঠানো হয় সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে। সেই ক্যাম্পেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ সঞ্জীব ঘোষকে। তপন কান্দু খুন প্রসঙ্গেই আইসিকে জিজ্ঞাসাবাদ গোয়েন্দাদের।
অভিযোগ, তপন কান্দু গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ঘটনার কথা জেনেও থানার ৫ পুলিশকর্মীকে ঘটনাস্থলে পাঠাননি সঞ্জীব ঘোষ। এমনকী গুলি লাগার পর জখম কাউন্সিলরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও প্রশাসনের তরফে কোনও বন্দোবস্ত করা হয়নি।
আরও পড়ুন- হাঁসখালিকাণ্ড: CBI হাতে কেস ডায়েরি, আজ নির্যাতিতার বাড়ি যেতে পারেন গোয়েন্দারা
তপন কান্দুর পরিবারের লোকজনই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করেছিলেন। ঘটনার দিন পুলিশকর্মীদের কেন তিনি ঘটনাস্থলে পাঠালেন না, সে প্রশ্নও তাঁকে করেছেন গোয়েন্দারা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ওই পাঁচ পুলিশকর্মীরা ভূমিকাও। সিবিআই সূত্রে জনা গিয়েছে, ওই পাঁচ পুলিশকর্মীকেও পরবর্তী সময়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
এরই পাশাপাশি কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মৃত্যুতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তপন কান্দু খুনের তদন্তের পাশাপাশি এবার তাঁর বন্ধুর মৃত্যুর তদন্তও করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।