শুক্রবার দুপুরের পর থেকে টানা তল্লাশি চালিয়ে শেষমেশ শনিবার সকালে নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সিবিআই। আগের মতোই একই অভিযোগ বিধায়কের। 'দলেরই কেউ কেউ আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছেন', ফের সরব দাপুটে বিধায়ক। তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি, কার্যালয় থেকে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।
তাপস সাহার বিরুদ্ধে দমকল, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ আগেই উঠেছিল। সম্প্রতি তৃণমূলের এই বিধায়কের বিরুদ্ধ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই মতো তাপস সাহার বাড়িতে তদন্তে শুক্রবার দুপুরেই পৌঁছে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। বাড়ি কার্যত ঘিরে রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি অভিযান। শুধু বাড়িতেই নয়, তাঁর কার্যালয়, এমনকী বেতাই কলেজ নিয়ে গিয়েও চলে তল্লাশি। ওই কলেজের পরিচালন সমিতির সদস্য তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক। কলেজের অধ্যক্ষের ঘরেও চলে তল্লাশি।
আরও পড়ুন- ‘দীর্ঘ দিন শান্তিতেই চার্চ, মন্দির, মসজিদের সহাবস্থান’, বিবেকের মন্তব্যে ক্ষিপ্ত পার্কসার্কাসের বাসিন্দারা
তবে তল্লাশি শেষে তৃণমূল বিধায়কের দাবি, সিবিআই কিছুই পায়নি। তবে তাঁর মোবাইল ফোন ও ছেলের কিছু নথি তাঁরা নিয়ে গিয়েছেন বলে জানিয়েছে তাপস সাহা। তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত-নির্দেশের পরপরই চক্রান্ত তত্ত্ব খাঁড়া করে সুর চড়িয়েছিলেন তাপস সাহা। তাঁর নিশানায় ছিলেন নদিয়া জেলা পরিষদ সদস্য তথা তৃণমূলনেত্রী টিনা সাহা ভৌমিক। তবে টানা সিবিআই তল্লাশি শেষে শনিবার সকালে বেশ খানিকটা চাপমুক্ত মনে হয়েছে তাপস সাহাকে।
সংবাদমাধ্যমকে এদিন তিনি ফের বলেন, 'তদন্তের ক্ষেত্রে আমি সবরকম সহযোগিতা করেছি। আমি চক্রান্তের শিকার। বিজেপিও যেমন চক্রান্ত করেছে, তেমনই তৃণমূলেরও কেউ কেউ চক্রান্ত করেছেন। আমি লড়াই করা মানুষ। দল ছেড়ে যাব না।'