আজই হাঁসখালিতে নির্যাতিতার বাড়ি ও ঘটনাস্থলে যেতে পারেন সিবিআই আধিকারিকরা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নদিয়ার হাঁসখালিতে নাবালিকা 'ধর্ষণ' ও পরে তাঁর মৃত্যু-তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর জোরদার তৎপরতা নিয়ে এগোচ্ছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। থানা থেকে নেওয়া হয়েছে কেস ডায়েরিও।
নদিয়ার হাঁসখালিতে নাবালিকা 'ধর্ষণ' ও পরে তার মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার এখন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। হাইকোর্টের নজরদারিতে হবে এই তদন্ত। আগামী ২ মে এই মামলার তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট সিবিআইকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই মতো তদন্তের কাজও জোরদার তৎপরতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার হাঁসখালিতে নির্যাতিতার বাড়িতে যেতে পারেন তদন্তকারীরা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ঘটনাস্থলটিও ঘুরে দেখতে পারেন গোয়েন্দারা। এব্যাপারে স্থানীয় থানার পুলিশকর্তাদের সঙ্গে আগেই কথা হয়েছে তদন্তকারীদের। তদন্তের স্বার্থে আবারও পুলিশ আধিকারিদের সঙ্গে হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে কথা হতে পারে গোয়েন্দাদের। এরই পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন- হাঁসখালি কাণ্ড: পুলিশে অভিযোগ দায়েরের সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা, বিস্ফোরক জবাব মৃতার বাবার
এদিকে, হাঁসখালিতে নাবালিকার উপর নির্যাতনের ঘটনা ৪ তারিখ রাতে ঘটলেও পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয় ১০ এপ্রিল। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা সেই প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন মৃতার বাবা।
তাঁর দাবি, ''আমার মেয়ে জন্মদিনের পার্টি থেকে ফেরার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। রাতেই বাড়িতে এসেছিল বেশ কয়েকজন। তার মধ্যেই ছিল ব্রজগোপাল ও তার দলবল। ওরাই আমাদের বলে, কাউকে কিছু না জানাতে। মুখ খুললেই পুড়িয়ে মেরে ফেলারও হুমকিও দিয়েছিল। ফলে পুলিশে যাওয়া হয়ে ওঠেনি।''