গরু পাচার মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে চোখ কপালে তোলার মতো তথ্য সামনে আসছে। পাহাড়-প্রমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলছে। কেষ্ট মণ্ডলের নামে-বেনামে সম্পত্তির পরিমাণ ঠিক কত ? তা বুঝতে এখনও ঢের দেরি কেন্দ্রের সংস্থার দুঁদে গোয়েন্দাদের। তবে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর কন্যা ও প্রয়াত স্ত্রীর পাশাপাশি ঘনিষ্ঠদের নামে দেড়শোরও বেশি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলেও দাবি সিবিআই সূত্রের। পার্থ না কেষ্ট? সম্পত্তির বহরে কে কাকে টেক্কা দেবেন? তা জানতে অবশ্য অপেক্ষা আরও কিছুদিনের।
শোরগোল ফেলে দেওয়া দাবি সিবিআই সূত্রের। গরু পাচারের টাকায় সম্পত্তির পাহাড় শুধুই কেষ্ট গড়েননি, তাঁর সহযোগিতায় সেই টাকার ভাগে কুবেরের সম্পত্তির মালিক হয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরাও। সিবিআই সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত তদন্তে যা মিলেছে তা চোখ কপালে তোলার পক্ষে যথেষ্ট। গরু পাচারের টাকাতেই বিপুল পরিমাণ এই সম্পত্তি কেনা হয়েছে বলে দাবি সিবিআই সূত্রের।
সিবিআই সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত শুধু অনুব্রত মণ্ডলের নামেই ২৪টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। তাঁর মেয়ে সুকন্যাও ২৬টি সম্পত্তির মালিক। এছাড়াও অনুব্রত মণ্ডলের প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামেও নাকি ১২টি জায়গায় সম্পত্তি রয়েছে বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে-স্ত্রী ছাড়াও তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নামেও ৪৭টি সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। গরু পাচারের টাকায় বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন কেষ্ট ঘনিষ্ঠরাও, এমনই দাবি সিবিআইয়ের।
আরও পড়ুন- গরু পাচার মামলা: আটক অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর, বোলপুরের ৪ জায়গায় CBI হানা
তদন্তে নেমে বোলপুর পুরসভার কর্মী বিদ্যুৎবরণ গায়েনের নামেও ৩২টি সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। এই বিদ্যুৎবরণ গায়েন অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠদের মধ্যে একজন। তাঁর স্ত্রীর নামেও বেশ কিছু সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। এছাড়াও বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির ঘনিষ্ঠ কমলকান্তি ঘোষ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামেও একাধিক এলাকায় সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে।
শুধু বীরভূমই নয়, গরু পাচারের টাকায় মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকা ছাড়াও বিধাননগরেও সম্পত্তি কেনা হয়েছে বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। সব মিলিয়ে পাচারের টাকায় কেষ্ট মণ্ডলের নামে-বেনামে কমপক্ষে দেড়শো সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে বলে দাবি সিবিআই সূত্রটির।