মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে যখন কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই, তখন সল্ট লেকের সিজিও কমপ্লেক্সে কী অবস্থা? এখানে সিবিআই দপ্তরে কাজকর্মের হাল কী?
একেই শনিবার, তার ওপর সরস্বতী পুজো আসন্ন। সিজিও কমপ্লেক্স একেবারে সুুনসান। লোকজনের আনাগোনা খুবই কম। সরকারি অফিস ছুটি, স্বভাবতই অন্যান্য দিনের মত গমগমে ভাব নেই। বরং চোখে পড়ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি। এখনকার সিজিওর ভিতরে রাজ্য পুলিশ থাকে না। পুরো সিজিও কমপ্লেক্স দখল করে আছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাহলে সিবিআই দপ্তরে হচ্ছেটা কী?
সিজিওতে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় মহিলা বাহিনীও
এখানকার সিবিআই দপ্তরে যাঁরা শনিবার কাজে এসেছেন, তাঁদেরও নজর রয়েছে শিলংয়ে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কলকাতা বা দিল্লি নয়, শিলংয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে। এখন পর্যন্ত কয়েক পর্যায়ের জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে। কারা রয়েছেন পুলিশ কমিশনারের সামনে? সূত্রের খবর, এসব নিয়েই এখন আলোচনা চলছে সিজিওর সিবিআই দপ্তরে। তারই পাশাপাশি আলোচনা চলছে, এরপর কাদের তলব করার পালা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজীব কুমারকে ৩৫-৪০টি প্রশ্ন সিবিআইয়ের
যেহেতু অধিকাংশ সিবিআই আধিকারিকই এই মুহূ্র্তে শিলংয়ে রয়েছেন, চিট ফান্ড সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা আপাতত বন্ধ রয়েছে। অনেকটাই হালকা কাজের মেজাজে রয়েছেন ছুটির দিনে অফিসে আসা সিবিআইয়ের অফিসার-কর্মীরা। সারদা মামলায় যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে রাজীব কুমারের জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের। এই পর্বে সাফল্য পেলে চিট ফান্ড তদন্তে অনেকটা মনোবল বেড়ে যাবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। অন্যদিকে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করাটা কতটা জরুরি ছিল, তা যদি প্রমাণ না হয়, তাহলে বিষয়টা অনেকটাই খেলো হয়ে যাবে। তা ভাল করেই জানেন সিবিআই দপ্তরের সব আধিকারিক বা কর্মীই।
তাই সিজিওতে সিবিআই দপ্তর এখন নীরব। তবে সিবিআই সূত্রে খবর, রাঘব বোয়ালদের তলব করার তালিকা প্রস্তুত রয়েছে। শীঘ্রই নোটিশ যাবে চিট ফান্ড কাণ্ডে যুক্ত প্রভাবশালীদের কাছে।