কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানার প্রতিবাদে রবিবার রাত থেকে ধর্নায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল রাত থেকেই মেট্রো চ্যানেলে মমতার ধর্না মঞ্চের সামনে ভিড় জমান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। সোমবার সকালেও সেই ভিড় বজায় থেকেছে। সিবিআই হানার প্রতিবাদে আজ দুপুর ২টো থেকে ৪টে পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে মিছিল করবে তৃণমূল।
রবিবার বিকেলে লাউডন স্ট্রিটে নগরপালের বাড়িতে আচমকাই হানা দেয় সিবিআইয়ের একটি দল। যা ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে। সিপির ঘরে সিবিআইয়ের পথ আটকাতে হাজির হন কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। রাস্তার মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে সিবিআই আধিকারিকদের বাদানুবাদ চলে। এরপর কয়েকজন সিবিআই আধিকারিককে জোর করে গাড়িতে তুলে শেক্সপিয়র সরণি থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এর আগে পার্ক স্ট্রিট থানায় যান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। একটি চিঠি ‘রিসিভি’ করতে বলে তাঁরা। কিন্তু পার্ক স্ট্রিট থানায় সিবিআইয়ের সেই চিঠি ‘রিসিভ’ করা হয় না। এরপরই শেক্সপিয়র সরণিতে যায় সিবিআই। সেখানে সিবিআই আধিকারিকদের ঘিরে ফেলে পুলিশ। কিছুক্ষণের জন্য থানার গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, Mamata Banerjee on Dharna Live Updates: রাতভর ধর্নায় মমতা, আজ সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই
এদিকে এ ঘটনায় রাজীব কুমারের বাড়িতে ছুটে যান স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। সিপির বাড়িতে যান কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারাও। লাউডন স্ট্রিটে যান এডিজি(আইনশৃঙ্খলা), ডিজিপিরাও। সিপির বাড়িতে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। এরপরই সিপির বাড়ির বাইরে সাংবাদিক সম্মেলন করে মমতা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ধর্নায় বসার কথা ঘোষণা করেন।রবিবার রাতে মমতাকে ফোন করেন রাহুল গান্ধী, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অখিলেশ যাদব, ওমর আবদুল্লারা।
2.30 am: ধর্না মঞ্চে অবস্থান শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে রয়েছেন অরূপ বিশ্বাস, দোলা সেন, মহুয়া মৈত্র, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, ইন্দ্রনীল সেন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় এই মেট্রো চ্যানেলের মঞ্চ থেকেই মমতার ২৬ দিনের অনশন ভিত টলিয়ে দিয়েছিল তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের। একই মঞ্চ থেকে এবারের ধর্নার রাজনৈতিক অভিঘাত কতটা সুদূরপ্রসারী হবে, সে দিকেই আপাতত তাকিয়ে বাংলা, তাকিয়ে ভারত।
2.15 am: মঞ্চে অধিষ্ঠিত মমতা। সন্ধ্যে থেকেই ধর্না মঞ্চের চারপাশে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ এবং কলকাতা পুলিশের তাবড় তাবড় কর্তারা। খোলা মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা এবং ভিড় ও ট্র্যাফিক সামলানোর ব্লু প্রিন্ট তৈরিতে এখনও ব্যস্তসমস্ত হয়ে ঘোরাঘুরি করছেন অন্তত জনা কুড়ি আইপিএস অফিসার। দেখুন মঞ্চের কিছু প্রাথমিক ঝলক।
1.45 am: অরবিন্দ কেজরিওয়াল কাল আসতে পারেন ধর্মতলায় মমতার ধর্না মঞ্চে, এমনটাই দাবী করছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ। কেজরিওয়াল আসুন বা না আসুন কাল, মোদী-বিরোধী রাজনীতির জাতীয় চালচিত্র যে আগামী কয়েক দিন বা সপ্তাহ কলকাতার মেট্রো চ্যানেল ঘিরেই আবর্তিত হবে, এটা নিশ্চিন্তে লিখে ফেলা যায়।
1.25 am: বাজেট অধিবেশন সংক্রান্ত ক্যাবিনেট বৈঠক তো কাল ধর্না মঞ্চ সংলগ্ন অস্থায়ী ভাবে তৈরি হওয়া ঘরে হবেই, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের বার্ষিক অলংকরণ সমারোহে পুলিশকর্মীদের পদক প্রদান অনুষ্ঠানও হবে ধর্নামঞ্চের পাশেই আর একটি মঞ্চে। সেই মঞ্চটি তৈরির কাজও চলবে রাতভর।
1.10 am: ঘড়ির কাঁটা একটা পেরোলো। মঞ্চ প্রস্তুতির শেষ পর্বের কাজ চলছে এখনও। সমর্থকদের ভিড় সামান্য হালকা হলেও এখনও অন্তত শ'পাঁচেক লোক ধর্মতলায়। "মোদি হঠাও দেশ বাঁচাও" স্লোগান উঠছে ঘনঘন।
12.50 am: "এই ফ্যাসিস্ট বাহিনীকে হঠাতে বিরোধীদের একজোট হতে হবে," মমতার পাশে থেকে বার্তা রাহুলের। আজ সন্ধ্যার পর থেকে একাধিকবার কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছেন মমতা।
President’s Rule should be imposed on West Bengal to control this ‘Rogue’ #TMchhi Govt under a corrupt CM MamtaBanerjee•This is a constitutional crisis ‘created’ by Mamta to shield her corrupt & tainted accomplices
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) February 3, 2019
12.45 am: স্পষ্ট ভাষায় রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবী জানালেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা সংগীতশিল্পী বাবুল সুপ্রিয়।
12.25 am: প্রায় প্রস্তুত ধর্না মঞ্চ। সূত্রের খবর, আর আধঘন্টার মধ্যেই মঞ্চে উপবেশন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
West Bengal had withdrawn general Consent to CBI for Invistsgstion of crime , full fledged attack on Federalism by Center , Constitutional war breaks out @derekobrienmp @MamataOfficial https://t.co/WkFhWuhAqJ
— indira jaising (@IJaising) February 3, 2019
12.10 am: সংবিধানের ওপর যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, টুইট করলেন প্রখ্যাত আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। এর আগে আরেকটি টুইট করে "৪০ জন সিবিআই অফিসার" মিলে নগরপালের বাসভবন ঘিরে ফেলায় তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেন তৃণমূল মুখপাত্র ডেরেক ও'ব্রায়েন।
11.55 pm: মেট্রো চ্যানেল চত্বরে এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রায় হাজারখানেক তৃণমূল সমর্থকদের ভিড়। এই মধ্যরাত ছুঁইছুঁই সময়েও। মুহুর্মুহু স্লোগান উঠছে, "নরেন্দ্র মোদী চোর হ্যায়"। যুদ্ধকালীন ব্যস্ততায় তৈরি হচ্ছে ধর্না মঞ্চ।
11.50 pm: ইতিমধ্যে তৃণমূল কর্মীদের রেল রোকো অব্যাহত রিষড়ায়। আসানসোলেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন দলের কর্মীরা।
Hooghly: TMC workers stage a 'rail roko protest' in Rishra over the ongoing CBI issue pic.twitter.com/uQwdwfudha
— ANI (@ANI) February 3, 2019
11.35 pm: রাজীব কুমারকে বাঁচাতে এত মরিয়া কেন মমতা? কটাক্ষ করে টুইট করলেন রাজ্য বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা।
Why @MamataOfficial is trying so desperately to save Rajeev KUMAR that she has to sit in dharna?
It’s an insult of our constitution. @MamataOfficial should be immediately arrested along with Rajeev Kumar.#MamataVsCBI #MamataBlocksCBI pic.twitter.com/tLUB3GRya6
— Rahul Sinha (@RahulSinhaBJP) February 3, 2019
11.30 pm: একদিকে বিরোধীদের সঙ্গে কথা চন্দ্রবাবু নাইডুর, অন্যদিকে অপ্রত্যাশিত বামপন্থী সমর্থন পেলেন মমতা। টুইট করলেন সিপিআই-এমএল নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, যিনি রবিবারে বাম ব্রিগেডে ভাষণ দিতে গিয়েও কড়া সমালোচনা করেন মোদী সরকারের।
Before the UP election, Modi had unleashed war on the common people in the name of curbing black money. Now ahead of 2019 elections, the Modi cabal is riding roughshod on the Constitution and its federal tenets by using the CBI. This conspiracy must be defeated. #ModiEkDisaster
— Dipankar (@Dipankar_cpiml) February 3, 2019
11.25 pm: নিজাম প্যালেসে জরুরি বৈঠক করল সিবিআই। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, রাজ্যপালের দ্বারস্থ হচ্ছে দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা। কিছুক্ষণ আগেই মমতা রাষ্ট্রপতি শাসন কায়েম করা নিয়ে হুঁশিয়ারি জারি করেন।
11.15 pm: "দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্য মমতাদির পাশে আছি," টুইট ডিএমকে নেতা স্ট্যালিনের।
10.55 pm: রাহুল গান্ধীও ফোন করেন মমতাকে। সেসময় মায়াবতীর সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "রাহুলের মিসড কল পেয়েছি। ফোন করব।" এর পর তিনি জানান, "সঙ্গে আছি", মমতাকে ফোনে এই বার্তা দিয়েছেন রাহুল।
10.50 pm: উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর সঙ্গেও ফোনে কথা হলো মমতার। ধর্না মঞ্চে মমতার বার্তা, "পুলিশ ও প্রশাসনকে বাঁচান। আমরা সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে সন্মান করি, সুপ্রিম কোর্টকেও সন্মান করি। বর্তমান সরকার জানে তারা আর ক্ষমতায় আসবে না, তাই প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে।"
10.45 pm: রাত্রেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে সিবিআই, সূত্রের খবর। রাজ্যও প্রস্তুতি নিচ্ছে আইনি লড়াইয়ের।
10.35 pm: মন্ত্রীদের বাড়ি ফিরে যেতে বললেন মমতা। বিধানসভা "সামলে নিতে" আদেশ দিলেন। "চিৎকার করবেন না, গান্ধীজির মতো আন্দোলন হবে।"
10.30 pm: "রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করলে দেখে নেব," ধর্না মঞ্চে হুঁশিয়ারি মমতার। দলের নেতা কর্মীদের বললেন, "নিজেদের এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করুন, রাস্তা বন্ধ করবেন না।" কাল দুপুর দুটো থেকে চারটে পর্যন্ত তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল।
কলকাতার নগরপাল রাজীব কুমারের বাসভবনে সিবিআই হানার পর মেট্রো চ্যানেলে ধর্না মঞ্চে বসে আগামীকাল তৃণমূলের প্রতিবাদ কর্মসূচি সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। #CBIvsKolkataPolice #CBIKolkataPoliceShowdown pic.twitter.com/keOnQQ51ND
— IE Bangla (@ieBangla) February 3, 2019
10.26 pm: "চোর ধরো, জেল ভরো। সারদা-নারদা-রোজ ভ্যালি কাণ্ডে দ্রুত তদন্ত করতেই হবে।" এই বার্তা নিয়ে সিপিআই (এম) কলকাতা জেলা কমিটির ডাকে সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল পাঁচটায় মৌলালির রামলীলা পার্ক থেকে মিছিল।
देश का आम आवाम भाजपा और उसकी गठबंधन सहयोगी पक्षपाती CBI के ख़िलाफ़ है। हम @MamataOfficial जी के साथ खड़े है। तानाशाही का नंगा नाच हो रहा है। लोकतंत्र पर सबसे बड़ा ख़तरा। संविधान और संवैधानिक संस्थाओं पर अभूतपूर्व संकट। चुनावी जीत के लिए देश को गृह युद्ध में झोंकने की कोशिश.. https://t.co/S5tfqvKEoA
— Lalu Prasad Yadav (@laluprasadrjd) February 3, 2019
10.20 pm: "মমতার পাশে আছি। লোকতন্ত্র বিপন্ন আজ। নজিরবিহীন সংকটে সংবিধান ও সাংবিধানিক সংস্থা," টুইট লালুপ্রসাদ যাদবের।
10.15 pm: ইতিমধ্যে নগরপালের বাসভবনে সিবিআই হানার প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে তৃণমূল। দমদমের নাগেরবাজারে রাস্তা অবরোধ, রিষড়ায় রেল অবরোধ চলছে। সোমবার রাজ্য জুড়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে, ধর্না মঞ্চে পৌঁছেছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
10.10 pm: ওদিকে সল্ট লেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই-এর দফতরে এখনও মোতায়েন রয়েছে সিআরপিএফ বাহিনী।
10.07 pm: ঘটনা সম্পর্কে সিপিআই (এম) রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের প্রেস বিবৃতি:
"আজকে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই অফিসাররা কথা বলতে গেলে তাঁদের কলকাতা পুলিশ বাধা দেয় এবং ধরেবেঁধে শেক্সপিয়ার সরণি থানাতে নিয়ে আসে। আবার মুখ্যমন্ত্রী ডিজিপি সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে যান, যা নজিরবিহীন ঘটনা। যদিও একথা সত্য, অন্যান্য স্বাধীন সংস্থার মত সিবিআই-র ওপর মোদী সরকারের হস্তক্ষেপ এখন প্রায় পাঁচ বছরের শাসনে প্রমাণিত সত্য।
বামেদের ঐতিহাসিক ব্রিগেড সমাবেশের সাফল্য থেকে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দিতেই এই কাজ করা হয়েছে। পাঁচ বছর ধরেই এই বিষয়টি প্রহসনে পরিণত হয়েছে। এমনকি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মত আরও বৃহত্তর চক্রান্ত উদঘাটন করতে আগেই তৎপর হওয়া যেত। লক্ষ লক্ষ চিটফান্ডের আমানতকারির কোটি কোটি টাকা যারা আত্মসাৎ করেছে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে প্রতারিত আমানতকারির টাকা ফেরৎ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি। প্রতারিতদের অনেকেই অবসাদের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁদের বিষয়টা কেন্দ্র রাজ্য উভয় সরকারের পক্ষ থেকে অনেক আগে থেকে দেখা উচিৎ ছিল, যা রাজ্যের তৃণমূল এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বোঝাপড়ার কারণে করেনি।
শুরু থেকেই মুখ্যমন্ত্রী চিটফান্ডের বিষয়ে অতি নাটকীয় পথ ধরে মূল অপরাধ থেকে নজর ঘোরাতে চাইছেন। কেন্দ্রীয় সরকারও বিষয়টি জিইয়ে রেখে এই নাটকে ইন্ধন যুগিয়ে চলেছে এবং আমানতকারিদের প্রতারিত করে চলেছে।
আমাদের পার্টি প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে যে প্রতারকদের গ্রেপ্তার করে তাদের শাস্তি বিধান করে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সকল আমানতকারিদের টাকা দ্রুত ফেরৎ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বিজেপি এবং তৃণমূলের বোঝাপড়ার ভিত্তিতে একে অপরকে ব্যক্তিগত ভাবে দোষারপের মধ্য দিয়ে রাজ্যবাসী বা আমানতকারিদের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে।
আমাদের দাবি, অপরাধীদের ধরো, জেলে ভরো এবং প্রতারিত গরিব মানুষের টাকা ফেরৎ দাও। এই দাবিতে আমরা আমাদের পার্টির সমস্ত ইউনিটকে অন্যান্যদের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে অবিলম্বে প্রচার আন্দোলন সংগঠিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।"
10.00 pm: "বাড়ি যান, নিজেদের এলাকায় নজর রাখুন। কাল বাজেট আছে," দলের সাংসদ ও বিধায়কদের বললেন মমতা। তিনি আরও জানালেন, জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, এবং অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন তিনি। "একসঙ্গে লড়ব আমরা," বললেন মমতা।
9.55 pm: অন্তর্বর্তীকালীন সিবিআই প্রধান এম নাগেশ্বর রাও সংবাদ সংস্থা এএনআই কে জানালেন, চিট ফান্ড কেলেঙ্কারি তদন্তে তথ্য প্রমাণ লোপাট করেছেন রাজীব কুমার। "উনি তথ্য প্রমাণ লোপাট করেছেন এবং বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করেছেন।" তিনি আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে সিবিআই, এবং অভিযোগ করেন যে তদন্ত সংক্রান্ত সমস্ত দলিল ও তথ্য প্রমাণ হস্তগত করে নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। "ওঁরা আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা তো করছেনই না, উল্টে প্রচুর তথ্য প্রমাণ হয় নষ্ট করে ফেলা হয়েছে, নয়ত লোপাট করে দেওয়া হয়েছে," বললেন রাও।
9.45 pm: মমতার সঙ্গে ফোনে কথা হলো সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব ও বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলরও। ধর্না মঞ্চে হাজির বিপুল সংখ্যায় তৃণমূল কর্মী সমর্থক।
9.40 pm: কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে মারধর ও তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করবে সিবিআই। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না মঞ্চে এই মুহূর্তে উপস্থিত কলকাতা পুলিশের প্রায় সমস্ত পদস্থ আইপিএস অফিসার।
9.35 pm: টুইটারে মমতাকে পূর্ণ সমর্থন জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মোদী-শাহ জুটির পদক্ষেপকে "আজব এবং অগণতান্ত্রিক" বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। মমতার সঙ্গে ফোনেও কথা হয়েছে, জানালেন কেজরিওয়াল।
Spoke to Mamta didi and expressed solidarity. Modi-Shah duo’s action is completely bizarre and anti-democracy
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) February 3, 2019
9.25 pm: মেট্রো চ্যানেলে ধর্না মঞ্চের পাশেই তৈরি হচ্ছে ছোট সভাকক্ষ। যেখানে কাল বাজেট অধিবেশন সংক্রান্ত ক্যাবিনেট মিটিং করবেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যান্য সরকারি কাজও চালাবেন মেট্রো চ্যানেল থেকেই।
9.20 pm: মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে রাজ্য সরকারের আধিকারিক ও দলীয় নেতৃবৃন্দ।
West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee sitting on her 'Save the Constitution' dharna at Metro Channel, Kolkata. Kolkata Police Commissioner Rajeev Kumar is also present. pic.twitter.com/nB6ASQIYFp
— ANI (@ANI) February 3, 2019
9.15 pm: আগামীকাল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে সিবিআই।
9.08 pm: ওদিকে সল্ট লেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের দফতর আগেই ঘিরেছিল বিধাননগর পুলিশ। এবার সেখানে উপস্থিত হলো সিআরপিএফ বাহিনী।
Interim CBI chief M Nageshwar Rao to ANI: We are contacting our senior law officers about the Kolkata incident. Whatever they suggest will be followed. pic.twitter.com/KRdD74oHje
— ANI (@ANI) February 3, 2019
9.05 pm: "আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছি", বললেন অন্তর্বর্তীকালীন সিবিআই প্রধান এম নাগেশ্বর রাও। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর।
9.00 pm: এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলন করার পর শেক্সপিয়র সরণি থানায় যান রাজীব কুমার। আপাতত মেট্রো চ্যানেলে মুখ্যমন্ত্রীর ধর্নাস্থলে উপস্থিত তিনি।
8.55 pm: "সিবিআই কোনও কাগজ দেখাতে পারেনি। ওঁরা সিবিআই অফিসার হিসেবে পরিচয় দেন। ওঁরা বলেছেন সিক্রেট অপারেশন করতে এসেছেন। সবটা আমরা খতিয়ে দেখছি," বললেন গোয়েন্দা প্রধান প্রবীণ ত্রিপাঠী।
Praveen Tripathi, Joint Commissioner Crime, Kolkata Police: A team of CBI officers came without any papers for what they called a 'secret operation'. When asked what the operation was about, they could not give a satisfactory response. pic.twitter.com/CyS83Z1aKC
— ANI (@ANI) February 3, 2019
8.50 pm: সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, শেক্সপিয়ার সরণি থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সিবিআই আধিকারিকদের।
8.40 pm: 'দেশকে বাঁচাতে' ধর্নায় বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে শোনা গিয়েছিল, নগরপালের বাড়ির কাছে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন তিনি।
West Bengal CM Mamata Banerjee: I am going to stage a dharna to save the federal structure. From today I'm going to sit near the Metro Channel. Tomorrow proceedings in state assembly will take place where I will hold a meeting. This dharna means satyagraha. pic.twitter.com/vL6My4UA6G
— ANI (@ANI) February 3, 2019
সিবিআইয়ের আধিকারিকরা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের লাউডন স্ট্রিটের সরকারি বাসভবনে হানা দিতেই প্রকট হয়ে পড়ল পুলিশ-সিবিআই দ্বন্দ্ব। একদিকে কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তার বাড়ির সামনে থেকে সিবিআই অফিসারদের আটক করার পাশাপাশি, সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স-এ সিবিআই-এর দফতর ঘিরে ফেলে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের বিশাল বাহিনী। এখানেই রয়েছে সিবিআই এবং ইডি-র আঞ্চলিক দফতর। সিবিআইয়ের এই দফতর থেকে সারদা, রোজ ভ্যালি-সহ সমস্ত চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।