Sandeshkhali-Sheikh Shahjahan: আবারও শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এবার CBI-এর একটি দল এদিন সকালে শাহজাহানের সন্দেশখালির (Sandeshkhali) আকুঞ্জিপাড়ার বাড়িতে হানা দেয়। শাহজাহানের পরিবারের সদস্যদেরও বেশ কয়েকটি বাড়িতে এদিন গিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। CBI-এর সঙ্গেই গিয়েছেন ED-রও দুই প্রতিনিধি। এই দু'জন গত ৫ জানুয়ারি শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে এসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
শাহজাহান মামলা এখন CBI-এর হাতে। CID-এর হাত ঘুরে এখন কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে সন্দেশখালির একদা বেতাজ বাদশা শাহজাহান শেখ (Shahjahan Sheikh)। শাহজাহানকে হেফাজতে রেখেই এদিন তার সন্দেশখালির বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। ২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে এদিন দ্বীপাঞ্চলে শাহাজাহানের ডেরায় অভিযানে যায় CBI। আকুঞ্জিপাড়ায় শেখ শাহাজাহানের বাড়িতে দ্বিতীয়বার ED গিয়ে গত ২৪ জানুয়ারি তালা ঝুলিয়ে এসেছিল।
শুক্রবার সেই তালা ভেঙে বাড়ির ভিতরে ঢুকেছেন সিবিআই অফিসাররা। গোটা বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বাড়ির বাইরেরও বেশ কয়েকটি জায়গা তাঁরা ঘুরে দেখেছেন। গত ৫ জানুয়ারি শাহজাহানের বাড়ি থেকে ইডির অফিসারদের মারতে মারতে কোন রাস্তা দিয়ে বের করা হয়েছিল বা আক্রান্ত হওয়ার পর কোন রাস্তা ধরে ইডির অফিসাররা বেরিয়ে গিয়েছিলেন সেই রাস্তার ছবি তোলার পাশাপাশি চত্বরটি ঘুরেও দেখেন সিবিআই আধিকারিকরা।
একদিকে, CBI যখন তল্লাশিতে ব্যস্ত তখন গোটা এলাকার দখল নিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘিরে থাকেন গোটা এলাকা। এদিন ফরেনসিক দল সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালায় CBI। শাহজাহানের বাড়ি থেকে বেশ কিছু নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। এদিন CBI প্রতিনিধিরা গিয়েছেন শাহজাহানের নামাঙ্কিত বাজারেও।
এদিকে, শেখ শাহজাহানকে এদিন জোকা ESI হাসপাতালে নিয়ে যায় সিবিআই। নিজাম প্যালেস থেকে শাহজাহানকে বের করে নিয়ে গিয়ে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতেই ESI হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
আরও পড়ুন- EXCLUSIVE: শিয়রে লোকসভা ভোট, তার আগেই বঙ্গে নাস্তিক সম্মেলন, উদ্দেশ্য ঘিরে তুঙ্গে চর্চা!
এদিকে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজই কলকাতার ৬টি জায়গায় তল্লাশি অভিযানে যায় ED। জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, এক পার্শ্বশিক্ষক এবং ব্যবসায়ী মহেন্দ্র আগারওয়ালের বাড়ি-অফিস সহ মোট ৬ জায়গায় তল্লাশি ইডি-র ৬টি দলের। শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় পার্থ ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়কে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে এঁদের নাম।
সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এই তল্লাশি কেন্দ্রীয় সংস্থার। মহেন্দ্র আগরওয়ালের সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হতো বলে ইডি সূত্রের। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই মহেন্দ্র আগারওয়ালের সঙ্গে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির যোগ রয়েছে বলেও ইডি সূত্রের খবর।