অবশেষে দীর্ঘ ৩৩ ঘণ্টার চেষ্টার পরে পুকুরে ফেলে দেওয়া তৃণমূল বিধায়কের দুটি মোবাইল ফোনের একটি উদ্ধারে সমর্থ হল সিবিআই। আরও একটি মোবাইল ফোন এখনও পুকুরে রয়েছে বলে দাবি সিবিআই আধিকারিকদের। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত শুক্রবার থেকে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। তল্লাশি চলাকালীন সিবিআই আধিকারিকদের হাত থেকে নিজের দুটি মোবাইল ফোন বিধায়ক ছিনিয়ে নেন বলে দাবি। বাড়ির পাশের পুকুরে তিনি ছুঁড়ে ফেলেছিলেন ওই দুটি ফোন। সেই পুকুরে পাম্প লাগিয়ে জল তুলে আপাতত একটি ফোন মিলেছে। অন্য আরও একটি ফোনের খোঁজে এখনও পুকুরে তল্লাশি চলছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে যায় সিবিআই। সেই থেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চলে তৃণমূল নেতাকে। তাঁর বড়ঞার আন্দির বাড়িতে চলে তল্লাশি। অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতিতে যোগ রয়েছে মুর্শিদাবাদের এই তৃণমূল বিধায়কেরও। সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে তিনিও টাকা তুলেছিলেন বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, এর আগে মুর্শিদাবাদ থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে এক ব্যক্তিকে সিবিআই গ্রেফতার করে। তাঁকে জেরা করেই বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম উঠে আসে।
আরও পড়ুন- আন্দোলনের খরচের উৎস কী? হালখাতার দিনেই শাসক তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ডিএ বিক্ষোভকারীদের
সিবিআই সূত্রের দাবি, তল্লাশি চালাকালীন হঠাৎই নিজের দুটি মোবাইল ফোন সিবিআই আধিকারিকদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেন বিধায়ক। ওই দুটি মোবাইল ফোনে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লুকিয়ে রয়েছে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। বিধায়ক পুকুরে মোবাইল ফেলতেই তৎপরতা বাড়ায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। দফায়-দফায় তিনটি পাম্প লাগিয়ে পুকুরের জল তুলে ফেলা হয়।
শেষমেশ রবিবার বেলা সাড়ে সাতটার কিছু পরে বিধায়কের একটি মোবাইল ফোন উদ্ধারে সমর্থ হয় সিবিআই। ফোনটি পাঁকে আটকেছিল। ওই ফোন থেকে ডেটা উদ্ধার নিয়ে যথেষ্ট সংশয়ে রয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে ওই ফোনে বিস্ফোরক একাধিক তথ্য লুকিয়ে রয়েছে বলেই দাবি সিবিআইয়ের। তবে বিধায়কের আরও একটি ফোনের হদিশ এখনও মেলেনি, সেই ফোনটিও পুকুরেই রয়েছে বলে একপ্রকার নিশ্চিত গোয়েন্দারা।