গরুপাচার মামলায় এবার জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের কোম্পানিকে নোটিস দিল সিবিআই। এএনএস অ্যাগ্রোকেম নামে ওই সংস্থার দুই ডিরেক্টর হলেন সুকন্যা মণ্ডল এবং বিদ্যুৎবরণ গায়েন। আগামী সোমবারের মধ্যে সুকন্যা এবং বিদ্যুকে সমস্ত নথি জমা দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা হলেও তাঁর নামে একাধিক ব্যবসা রয়েছে। আগেই তাঁর মালিকানাধীন চালকলের হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এএনএম অ্যাগ্রোকেম নামে ওই সংস্থার জয়েন্ট ডিরেক্টর সুকন্যা এবং বিদ্যুবরণ গায়েন। তাঁদের দুজনকেই সমস্ত নথি নিয়ে সিবিআই হাজির হতে বলেছে।
এই সংস্থার মাধ্যমে একাধিক সম্পত্তি কেনা হয়েছে বলে তদন্তকারীদের দাবি। গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়েছে। সেখানে এই সংস্থার নাম উল্লেখ করেছে সিবিআই। সিবিআই আধিকারিকদের দাবি, চাপ সৃষ্টি করে নামমাত্র দামে বহু জায়গায় ওই সংস্থার নামে জমি, সম্পত্তি ক্রয় করা হয়েছে। অভিযোগ এমনটাই।
আরও পড়ুন পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ইডির, ১৪ দিনের হেফাজতে মানিক ভট্টাচার্য
এদিকে, গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে সাক্ষী হিসাবে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের নাম চার্জশিটে উল্লেখ করেছে সিবিআই। উত্তর স্পষ্ট না হলেও এব্যাপারে জল্পনা উসকে দিয়েছে খোদ সিবিআই। গরু পাচার মামলায় এবার বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে সাক্ষী হিসেবে সেই জেলারই তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের নাম চার্জশিটে উল্লেখ করেছে সিবিআই। তবে কি এবার ভরা আদালতে কেষ্টর বিরুদ্ধে মুখ খুলবেন শতাব্দী? সেটা অবশ্য সময় বলবে।
এদিকে, শতাব্দী রায় খোদ জানিয়েছেন, এক লাইন প্রশ্ন করা হয়েছিল সিবিআইয়ের তরফে। একটি ফোন নম্বর দেখিয়ে জানতে চাওয়া হয়, এটি তাঁর কি না। শতাব্দী জানিয়েছেন, এটি তাঁর নম্বর। এছাড়া অনুব্রতর সঙ্গে আর কোনও বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়নি তাঁর কাছে। অনুব্রতর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার বিষয়ে কোনও প্রশ্নই নেই বলে জানিয়েছেন শতাব্দী।