সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও সিবিআই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোমবার সমন পাঠিয়েছিল। যা নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায় বাংলার রাজনীতিতে। এরপর টুইটে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে নিশানা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিযোগ ছিল, তাঁকে টার্গেট করে অপদস্থ করছে সিবিআই। সিবিআই-ইডির বিরুদ্ধে আদালতের অবমাননারও অভিযোগ তোলা হয়। সোচ্চার হয় তৃণমূলও। এই বিতর্কের মধ্যেই মঙ্গলবার ফের 'তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড'কে চিঠি দিয়েছে সিবিআই।
সোমবারের চিঠিতে তলব করা হয়েছিল ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে। কিন্তু, তা নিয়ে বিতর্ক হতেই আপাতত ঢোক গিলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিনের চিঠিতে তা স্পষ্ট হচ্ছে। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় চিঠিতে ভুল শুধরে নিয়েছে সিবিআই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আপাতত সোমবারের সমন অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে তাঁকে হাজিরা দিতে হবে না। আদালতের পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত হাজিরা স্থগিত রাখা হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল- নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত বহিষ্কৃত তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের চিঠির বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখনই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপর আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল- পরবর্তী নির্দেশ না হওয়া পর্যন্ত এই শীর্ষ আদালতের নির্দেশই কার্যকর থাকবে। এই মামলার পরবর্তী নির্দেশ আগামী ২৪ এপ্রিল। তারপরও সোমবার বিকেলের মুখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের নোটিস ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।