/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/03/anarul-bagtui.jpg)
আবারও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করলেন আনারুল।
আবারও নিজেকে নির্দোষ দাবি রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত আনারুল হোসেনের। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা আনারুলের পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে চায় সিবিআই। সেই মর্মেই রামপুরহাট মহকুমা আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনের শুাননিতেই বুধবার আনারুল হোসেনকে রামপুরহাট আদালতে তোলা হয়। আদালতে ঢোকার আগে ফের একবার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করতে থাকেন আনারুল। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন আনারুল।
রামপুরহাটের বগটুই হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন, এমনই দাবি করেছেন স্বজনহারা বেশ কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা। এমনকী বগটুই গ্রামের অনেকেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পিছনে আনারুল হোসেনের জড়িত থাকার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। আনারুলের 'নির্দেশ' মেনেই ঘটনার দিন পুলিশ সময়মতো বগটুই গ্রামে যায়নি বলে অভিযোগ অনেকের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করে আনারুলকে।
গ্রেফতার হওয়ার পরেও নিজেকে বারবার নির্দোষ বলে দাবি করেছিলেন আনারুল হোসেন। বুধবার ফের একবার সেই একই দাবি বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই রাজনৈতিক বন্দির মর্যাদার দাবি তুলেছিলেন আনারুল। তাঁর আইনজীবী রামপুরহাট আদালতে সেই দাবি জানালে আদালতও বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। সিবিআইয়ের কাছে আনারুল হোসেনের বিস্তারিত পরিচয় দু'সপ্তাহের মধ্যে জানতে চেয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন- আজও প্রবল দুর্যোগ এই জেলায়, বৃষ্টি কমবে উত্তরবঙ্গে
চলতি বছরের ২১ মার্চ রামপুহাটের বগটুই গ্রামে খুন হন বড়শাল পঞ্চায়েতের উপ প্রধান তথা এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ। ভাদু খুনের পরপরই হিংসার আগুনে জ্বলতে থাকে বগটুই গ্রাম। পরপর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ওই রাতেই পুড়ে মৃত্যু হয় আটজনের। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরও দু'জনের। সব মিলিয়ে বগটুই কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বগটুইয়ে ভাদু শেখ খুন ও গ্রামে বাড়িতে আগুন ধরানোর ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আনারুলকেও দফায়-দফায় জেরা করে একাধিক তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। তবে এবার আনারুল হোসেনের পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন সিবিআইয়ের।