রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডে এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ৭ এপ্রিলের মধ্যে সিবিআইকে প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট জমার নির্দেশ উচ্চ আদালতের। ''ন্যায়বিচারের স্বার্থে এবং মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত'', এদিন বগটুই মামলার শুনানিতে এমনই জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
আর রাজ্য পুলিশের সিট নয়। রামপুরহাটের বগটুই গণহত্যার তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। নির্দেশ কলকাতা হইকোর্টের। সিটের থেকে নিয়ে বগটুই গণহত্যার তদন্তভার এবার দেওয়া হল সিবিআইয়ের হাতে। এদিন আদালত জানিয়েছে, ''সিট আর এই মামলার তদন্ত করবে না। ন্যায়বিচারের স্বার্থে সিবিআইকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে। বগটুইয়ের ঘটনায় সব ধৃতকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে।''
একইসঙ্গে এই মামলায় আদালতের আরও মন্তব্য, ''সত্য উদঘাটনের প্রয়োজন রয়েছে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে এবং মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত।'' আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে সিবিআইকে মামলার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের পরেই গ্রামের পরপর বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেই আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় আরও সাতজনের। গা শিউরে ওঠার মতো সেই ঘটনার নিন্দা সর্বত্র। বগটুই গণহত্যা রাজ্যের শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফল বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে এর পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খাড়া করেছে তৃণমূল। বগটুই কাণ্ডে সিট গঠন করে তদন্ত চালাচ্ছিল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বেশ কেয়কজন গ্রেফতারও হয়েছে।
আরও পড়ুন- বগটুইয়ে নাটের গুরু কে? রহস্য লুকিয়ে দুই নেতার অট্টালিকায়
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন রামপুরাহাটের বগটুই গ্রামে। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, আর্থিক সাহায্যেরও ঘোষণা করেছেন তিনি। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বগটুইয়ের ঘটনায় রামপুর ১ নং ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনারুল হোসেনের ভূমিকা সন্দেহের বাইরে নয়।
আনারুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন তিনি। তড়িঘড়ি পুলিশ গ্রেফতার করে আনারুলকে। সিট হেফাজতে জেরাও শুরু হয় তৃণমূল নেতাকে। তবে এবার আর সিটের হাতে বগটুই তদন্তভার রইল না। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বগটুই কাণ্ডের তদন্তভার গেল কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে।