আমতার সারদা গ্রামে আনিস খানের সমাধিস্থলে নজরদারিতে বসল দুটি সিসিটিভি। লাগানো হয়েছে আলো। মৃত ছাত্রনেতার বাবার দাবি মেনে পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। সিসিটিভি-তে সর্বক্ষণ চোখ রেখেছেন এক পুলিশকর্মী।
কেন ছেলের সমাধিতে নজরদারির আবেগন করেছিলেন আনিসের বাবা? পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে যে, সিবিআই তদন্তে অনড় থাকাই দুদিন আগেই জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত ছাত্রনেতার পরিবারকে হুমকির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। অভিযোগের তির ছিল সারদা গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান এবং উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। তাঁরাই নাকি আনিসের দেহ কবর থেকে তুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আমতা থানার ওসি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ বৃস্পতিবার এঁদের গ্রেফতারির দাবিও থানায় গিয়ে করে এসেছেন বৃদ্ধ। পুলিশের বড় কর্তাদেরও কেউ কেউ তৃণমূলের এইসব জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে রয়েছেন বলে দাবি তাঁর। এই পরিস্থিতিতে ছোট ছেলের সমাধি আগলে রাখতে পুলিশের কাছে আবেদন করেছিলেন সালেম খান।
এদিকে আনিসের মৃত্যুর ৬ দিন পর সরিয়ে দেওয়া হয়েছে আমতা থানার ওসিকে। অনির্দিষ্টকালের জন্য তাঁকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। আমতার নতুন ওসি হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন কিঙ্কর মণ্ডল। আগে আমতা থানার সাব ইনস্পেক্টর হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। হাওড়া গ্রামীণের স্পেশ্যাল অপারেশনের ওসির দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি।
অন্যদিকে, উলুবেড়িয়া জেলে আজই অভিযুক্তদের চিহ্নিতকরণের জন্য যাবেন আনিস খানের বাবা ও দাদা।