CM at Nabanna: টিকা বরাত নিয়ে বুধবার ফের কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকার প্রসঙ্গ তোলেন। সরবরাহ কম থাকায় সঠিক পথে চলছে না টিকাকরণ। এই আক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ৩ কোটি টিকা চেয়েছিলাম, পেয়েছি ১.৯৯ কোটি। কেন তোমরা ৩ কোটি পাঠাওনি। রাজস্থানের মতো ছোট রাজ্য পর্যাপ্ত টিকা পাচ্ছে। উত্তর প্রদেশ সাড়ে ৩ কোটি, মহারাষ্ট্র ৩ কোটি ডোজ পাচ্ছে।আমরা কেন চেয়েও পাচ্ছি না। ভ্যাকসিন প্রয়োগে বাংলা প্রথমে। আমার কাছে ভ্যাকসিন নেই বলে কলকাতায় শুধু দ্বিতীয় ডোজ। ভ্যাকসিন কিনতেও দিচ্ছে না, নিজেও পাঠাচ্ছে না।‘
সুর চড়িয়ে তাঁর দাবি, ‘১৮ লক্ষ ডোজ রাজ্য কিনে দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২ কোটি ১৭ লক্ষ মানুষের টিকাকরণ হয়েছে। ৪১ লক্ষ সুপার স্প্রেডারকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের পাঠানো ভ্যাকসিন থেকে ১ কোটি ৯৮ লক্ষ টিকাকরণ হয়েছে। বাকি টিকা রাজ্য কিনেছে।‘
তবে রাজ্যে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের অভাব প্রকট। এ কথা মেনে নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এই অভাবের কারণে প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ এখনও দ্বিতীয় ডোজ পায়নি। কিছু লোকের সময় এগিয়ে এসেছে, কিছু মানুষের সময় পেরিয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন নিয়ে সংখ্যাটা প্রায় ৮ লক্ষের ওপরে। এদিকে, এদিন তিনি ঘোষণা করেন, ‘এসএসকেএম এবং উত্তরবঙ্গে ক্যান্সার হাসপাতাল হবে। টাটা মেডিক্যালের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই উদ্যোগ। রাজ্যের ক্যান্সার আক্রান্তের ২৫% মুম্বাইতে যান চিকিৎসা করাতে। সেই শ্রম কমাতেই এই উদ্যোগ।‘
এদিকে, টিকাকরণ জোর কদমে শুরু হলেও এখনও রাজ্যে টিকা ঘাটতি রয়েছে। পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের অভাবে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ পায়নি বাংলার প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষের বেশি মানুষ। এই পরিস্থিতিতে এবার নয়া ফর্মুলা আনল মমতা প্রশাসন।
স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান রাজ্যে যে পরিমাণ টিকা আসবে তার ৫০ শতাংশ বরাদ্দ থাকবে শুধুমাত্র দ্বিতীয় টিকা হিসাবে। অর্থাৎ যাঁদের দ্বিতীয় টিকা বাকি তাঁদের দেওয়া হবে সেই টিকা। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, রাজ্যে কোভিশিল্ডের মোট দ্বিতীয় টিকা বাকি রয়েছে ৬ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬৮৫ জনের।কোভ্যাক্সিনের মোট দ্বিতীয় টিকা বাকি রয়েছে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ১৬২ জনের।
প্রতিটি জেলার জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, কলকাতার পুর কমিশনার ও সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও সুপারদের এই নয়া নির্দেশ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ না পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন মিলছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ৫০% ভ্যাকসিন বরাদ্দ থাকবে দ্বিতীয় ডোজের জন্য, এমনটাই স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন